নয়াদিল্লি: মুসলমানদের মধ্যে তিন তালাক, নিকাহ হালাল ও বহুবিবাহ প্রথার বৈধতা নিয়ে আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে শুনানি।


যে বেঞ্চে এই শুনানি চলবে তার নেতৃত্বে থাকছেন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর। এছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, রোহিনটন নরিম্যান, কুরিয়েন জোসেফ ও আবদুল নাজির।

কেন্দ্রীয় সরকার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, তিন তালাক সংবিধান বিরোধী, তারা এই প্রথার অপসারণ চায়। বহু মুসলিম মহিলাও এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। সব মিলিয়ে তিরিশটিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে এই মর্মে, রয়েছে মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত গোষ্ঠীও। কিন্তু অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল বোর্ডের দাবি, তিন তালাক শরিয়ত সম্মত, তারা কোনওমতেই এই অধিকার ছেড়ে দেবে না। আদিবাসীদের কয়েকটি সংগঠনও এই মামলায় রয়েছে, কারণ তাদের কোনও কোনও গোষ্ঠীতে বহুবিবাহ প্রথা রয়েছে।



দেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম গ্রীষ্মের ছুটিতে অবকাশযাপন না করে ১৯জন বিচারপতি ছুটির সময় শুনানিতে ব্যস্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গরমের ছুটির প্রথম দিনে তাঁদের গৃহীত প্রথম মামলা হল এই তিন তালাকের মামলা।

কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, তিন তালাক, নিকাহ হালাল ও বহুবিবাহ প্রথা পুরুষতান্ত্রিক নিয়মের অনুসারী, সংবিধান প্রদত্ত মহিলাদের সমানাধিকারের বিরুদ্ধে। এর ফলে এ দেশে মুসলমান মহিলাদের অবস্থান তাঁদের সমাজে পুরুষদের থেকে অনেকটাই নীচুতে, এমনকী বিদেশের মুসলমান মহিলারাও তাঁদের থেকে ভাল জায়গায় রয়েছেন।

যদি ধরেও নেওয়া যায়, খুব বেশি সংখ্যক মহিলা সরাসরি এই সব প্রথার শিকার হন না, তা হলেও এটা অনস্বীকার্য যে এই প্রথার অধীনে থাকা প্রত্যেক মহিলার ওপর তিন তালাকের খাঁড়া ঝুলছে। সম্মান নিয়ে তাঁদের বাঁচার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে এই প্রথা।