নয়াদিল্লি:  মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে ভারতীয় কম্যান্ডো-হানা। গোপন অভিযানে খতম জঙ্গি, হ্যান্ডলার, গাইড সমেত ৩৮। নিহত ২ পাক সেনাও। ধ্বংস ৭ লঞ্চপ্যাড। উরি হামলার জবাব এভাবেই দিল ভারত।


প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এধরনের হামলার প্রয়োজন ছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।

বিশেষ করে, পঠানকোট কাণ্ড থেকেই দেশবাসীর মধ্যে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভ। উরিকাণ্ডের পর যা বিস্ফোরিত হয়। দেশের সকলেই পাল্টা আঘাত চাইছিলেন। এমনকী, সেনাবাহিনীর একাংশও এধরনের হামলার পক্ষে ছিল।

প্রাক্তন সামরিক শীর্ষকর্তারা এদিন অভিযানের জন্য সেনা জওয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করেন।

অবসরপ্রাপ্ত ডিজি ইনফ্যান্ট্রি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস প্রসাদ বলেন, অনেক দিনের পুরনো হিসেব (পাকিস্তানকে) চুকিয়ে দেওয়া হল। তিনি যোগ করেন, এটা ভাল যে সেনাকে তাদের কাজ করতে দিচ্ছে সরকার।

তিনি যোগ করেন, পাক সেনার জানা উচিত আমরা কী করতে পারি। এরপরও ওরা না শোধরালে, ফের একই রকম হামলা হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি গোয়েন্দাদের উচ্ছ্বসীত প্রশংসা করেছেন জঙ্গি-শিবির সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করার জন্য।

প্রাক্তন ‘র’ প্রধান সি ডি সহায় জানান, এধরনের হামলা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। যদিও তিনি যোগ করেন, এদিনের অভিযানকে পঠানকোট-উরির জবাব হিসেবে দেখাটা উচিত নয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। ফলে, তাকে জবাব দেওয়াটা প্রয়োজন ছিল।