পটনা: লালুপ্রসাদ যাদবের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ তাঁর বড় মেয়ে মিশা ভারতীর বিরুদ্ধেও। এবার আরজেডি সুপ্রিমোর পঞ্চম কন্যা হেমা যাদবের বিরুদ্ধেও বেআইনি সম্পত্তির অভিযোগ।


অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। তাঁর বক্তব্য, লালুপ্রসাদের গোশালায় কাজ করা জনৈক লাল্লন চৌধুরী লালু পত্নী রাবড়ি দেবী ও হেমাকে পটনায় দু’খণ্ড জমি দিয়েছেন। সেই জমির দাম ১ কোটি টাকার কম নয়। অথচ লাল্লন খাতায় কলমে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী, তাঁর বিপিএল কার্ড রয়েছে।

আজ ৭০-এ পড়েছেন লালু। তার আগে তাঁর জন্মদিনের পার্টিতে চোনা ফেলতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না সুশীল। তিনি অভিযোগ করেছেন, সিওয়ানের বাসিন্দা লাল্লন ২০১৪-য় ওই ১ কোটি টাকার জমি রাবড়ি-হেমাকে দান করেন। অভিযোগের সমর্থনে নথিপত্রও পেশ করেন তিনি।

সুশীলের বক্তব্য, এই লাল্লন কলিকালের দানবীর কর্ণ, যিনি ১ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি লালু পত্নী ও কন্যাকে উপহার দিয়েছেন। প্রশ্ন হল, লালুর চাকর এত সম্পত্তি কোথা থেকে করলেন, যে প্রভু পত্নী ও কন্যাকে কোটি টাকার উপহার দিতে পারলেন!

সুশীলের বক্তব্য, ২০ বছর ধরে লালুর খাটালে কাজ করছেন লাল্লন। অথচ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী এই ব্যক্তিই ২০১৪-র ২৫ জানুয়ারি ৩০.৮ লাখ টাকা মূল্যের ১১০০ বর্গ ফুট জমি দেন রাবড়িকে। তার ১৮ দিনের মাথায় তিনি আবার উপহার দেন, এবার উপহার পান হেমা, ৬২ লাখ টাকা মূল্যের ৩,৪০০ বর্গ ফুট জমি। সুশীল কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করেন, ২০০৮-এ ওই জমি লাল্লন কেনেন জনৈক বিষ্ণু রাইয়ের কাছ থেকে। লালু তখন ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী। তখন জমির দাম পড়েছিল ৪.২১ লাখ টাকা।

সুশীল মোদীর প্রশ্ন, এমন কী হল, যে ওই জমি রাবড়ি-হেমাকে উপহার দিলেন লাল্লন। কী সুবিধে তিনি পেয়েছেন তার বদলে।
মোদীর অভিযোগ, রেলমন্ত্রী হিসেবে লালু বিষ্ণু রাইয়ের পরিবারের লোকদের চাকরি পাইয়ে দেন, বদলে চান ওই জমি। জমি রেজিস্ট্রি হয় লাল্লনের নামে, ৬ বছর পর সেই জমিই লাল্লন ফেরত দেন রাবড়ি-হেমাকে।
বিষয়টির তদন্ত চেয়েছেন তিনি।