প্রিয়ঙ্কাকে কংগ্রেস পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক করার পরদিনই তাঁকে নিশানা করেন সুশীল। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে তাঁর ঠাকুমা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সাদৃশ্য নিয়েও খোঁচা দেন তিনি। বলেন, শুধুমাত্র তাঁর সঙ্গে চেহারায় মিল রয়েছে বলেই কেউ আরেকজনের মতো যোগ্য, দক্ষ হতে পারলে তো এতদিনে আমরা আরও অনেক বিরাট কোহলি, অমিতাভ বচ্চন পেয়ে যেতাম। ডুপ্লিকেটদের দিয়ে রাজনীতি হয় না। প্রিয়ঙ্কাকে দেখতে ইন্দিরার মতো লাগতে পারে, কিন্তু দুজনের অনেক ফারাক।
প্রিয়ঙ্কার স্বামী ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার সঙ্গে ইন্দিরার স্বামী ফিরোজ গাঁধীর তুলনা টেনে সুশীল বলেন, ফিরোজ সুবক্তা, ঋজু ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিক ছিলেন, যাঁর প্রবল প্রতাপশালী শ্বশুর জওহরলাল নেহরুর মুখের ওপর কথা বলার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার ব্যবসায়ী স্বামী একাধিক রাজ্যে গোলমেলে জমি লেনদেনের ডিলে জড়িত, তদন্ত চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এহেন এক মহিলার, যাঁর জীবনসঙ্গী এরকম একটা দাগি লোক, দলে অন্তর্ভুক্তিতে খুশিতে ভাসতে চাইলে ভাসতেই পারে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সুশীল দাবি করেন, প্রিয়ঙ্কা দলে উঁচু পদে বসার ফলে রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির অভিযোগগুলি সামনে চলে আসবে, যার ফায়দা তুলবে এনডিএ। বলেন, বিজেপি আদৌ উদ্বিগ্ন নয়। বরং প্রিয়ঙ্কার দলে প্রবেশে আমাদেরই লাভ হবে। কংগ্রেস ওকে এনেছে সপা-বসপা জোটকে বিপাকে ফেলতে, ওদের ভোট কাটার সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে। এটা অখিলেশ, মায়াবতীকে ওঁদের কৌশল ফের খতিয়ে দেখতে বাধ্য করার মরিয়া চেষ্টা।