প্রসঙ্গত, সুষমার সঙ্গে সুর মিলিয়ে সরতাজের বিরুদ্ধে যে পাকিস্তানি মহিলা আওয়াজ তুলেছেন, তাঁর নাম টুইটার হ্যান্ডেলে হিজাব আসিফ। তাঁর এক আত্মীয়ের ভারতে চিকিত্সা করানোর প্রয়োজন ছিল। সেই আর্জি জানিয়ে ওই পাক মহিলা সুষমাকে টুইট করেন। সেই টুইটটি সুষমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে, এদেশের বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানের ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এবং ওই পাক বাসিন্দাকে বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করার নির্দেশ দেন।
তবে এই ঘটনাকেই অস্ত্র করে আজিজকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি সোজাসুজি ওই মহিলাকে টুইটারের মাধ্যমে প্রশ্ন করেন, এতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আপনাদের কোনও অনুমতিপত্র এখনও দেননি পাক বিদেশমন্ত্রী।
তার জবাবেই ওই মহিলা বলেন, তাঁরা এটাও জানেন না আজিজের আদও কোনও অস্তিত্ব আছে কিনা? তারপর তিনি বলেন, পাক সরকার দুর্নীতিপরায়ণ এবং পাকিস্তানিরা ভারতকে ভালবাসেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের কোনও বাসিন্দা যদি ভারতে এসে চিকিত্সা করাতে চান, তাহলে তাঁকে সেখানকার বিদেশমন্ত্রীর থেকে একটি চিঠি আনতে হয়।
তারপরই সেই টুইটার কথোপকথনের মাঝে আবির্ভূত হন এক ব্যক্তি, যিনি খুব সম্ভবত ভারতীয়। তিনি বলেন, আপনাদের মতো নাগরিকরা যদি পাক সরকারকে আর্জি জানান, যাতে তারা কোনওভাবেই সন্ত্রাসকে মদত না দেয়। তারপরই আসিফ নামের ওই মহিলা বলেন, তাঁরা মাঝেমধ্যেই তাঁদের সরকারের সমালোচনায় সরব হন, কিন্তু তাঁদের সরকার নির্লজ্জ। তারপরই তিনি সুষমা স্বরাজকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুদেশের অস্থির সম্পর্কের মধ্যেও তিনি যে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁর জন্যে তিনি সারাজীবন সুষমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, পাক ওই মহিলা তাঁর একটি ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন। সুষমাকে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে বলেছেন এবং তাঁকে সুপারওম্যান বলেও সম্বোধন করেছেন।
তবে এই প্রথম নয়, দিন কয়েক আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক অসুস্থ বাসিন্দাকেও দিল্লি এসে চিকিত্সার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন সুষমা। সেবার তিনি বলেছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ, তাই সেখানকার বাসিন্দার দিল্লি এসে চিকিত্সা করানোর জন্যে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাকে মেডিক্যাল ভিসা দেওয়া হবে, আজিজের চিঠি লাগবে না, কারণ এটা ভারতেরই অংশ:সুষমা