নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির সমালোচক হওয়ার জন্য পরিচিত অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। সাম্প্রতিককালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। এমনকী, চলতি ভোটের মরশুমে আম আদমি পার্টি থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও বাম সহ একাধক বিরোধী দলের হয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
এবার দিল্লি বিমানবন্দরে এক ঘটনাকে ঘিরে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হলেন স্বরা। সম্প্রতি, নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন স্বরা।
অভিনেত্রী জানান, দিনকয়েক আগে বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে এক ব্যক্তি সেলফির আবদার নিয়ে অনুরোধ করেন। না করেননি স্বরা। অভিনেত্রীর দাবি, সেলফি তোলার অছিলায় কাছে এসে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, কিন্তু ম্যাডাম, ফের আসবেন তো মোদি-ই। এই গোটা ঘটনা সেলফি-ভিডিওর মাধ্যমে মোবাইলবন্দি করেন ওই ব্যক্তি। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন।
স্বরা জানান, রাজনীতিকে হাতিয়ার করে যাঁরা সেলফি তৈরি করেন, তাঁদের সঙ্গেও কখনই ভেদাভেদ করেন না তিনি। অভিনেত্রী বলেন, এভাবে ভিডিও তোলা হল ‘ভক্ত’-দের পরিচিত পন্থা। ফলত, ভিডিও দেখে আমি অবাক হইনি। উল্টে আমি খুশি যে আমার জন্য কিছু ভক্ত নিজেদের ধন্য মনে করার সুযোগ পেল।
টুইটারে ওই ভিডিও শেয়ার করে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন ৩১-বছরের স্বরা, যিনি ‘তনু ওয়েডস মনু’, ‘নীল বাটে সন্নাটা’, ‘রঞ্ঝনা’, ‘আনারকলি অফ আরা’ সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
তবে, রূপোলি পর্দার পাশাপাশি, নিজের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করেও বেশ নাম কুড়িয়েছেন স্বরা। বিশেষ করে, কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির সমালোচক হিসেবে তিনি খ্যাত।
গতকালই, পূর্ব দিল্লিতে গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেবানীকে সঙ্গে নিয়ে আম আদমি পার্টির প্রার্থী অতীশির হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে জেএনইউ-র পড়ুয়া স্বরা। এর আগে, গতমাসে বিহারের বেগুসরাইতে বাম প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের হয়েও তাঁকে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া, ভোপালে কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগ্বিজয় সিংহ এবং রাজস্থানের সিকারে বাম প্রার্থীর হয়েও তিনি জোর প্রচারে অংশ নেন।
দ্বিগ্বিজয়ের হয়ে প্রচারের সময় মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন স্বরা। বলেছিলেন, সন্ত্রাস হানায় অভিযুক্ত একজনের প্রার্থী হওয়াটা সত্যিই লজ্জাজনক।
সেখানেই ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ প্রসঙ্গে তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হয়। স্বরা বলেন, ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদ যদি থেকে থাকে, তাহলে হিন্দু সন্ত্রাসবাদকেও অস্বীকার করা যায় না। তিনি যোগ করেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই, তবে সন্ত্রাসবাদীর আছে।