অতঃপর কাঞ্চিপুরমের এক মন্দিরের বাইরে ভিক্ষে করতে বসেন তিনি। মাথার টুপি খুলে মাটিতে রেখে দর্শনার্থীদের কাছে হাত পাতেন।
কুমারাকোট্টাম শ্রী সুব্রহ্মণ্য স্বামী মন্দিরে ঢোকার দরজার মুখে এক বিদেশীকে এভাবে বসে থাকতে দেখে সহানুভূতি থেকে অনেকে এগিয়ে আসেন, সাধ্যমত অর্থ দেন, পুলিশকেও জানান। পুলিশও ওই রুশ ছেলেটিকে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে চেন্নাই গিয়ে সেখানকার রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে সুষমার কানে বিষয়টি যেতেই ট্যুইটারে ওই রুশ ছেলেটিকে অভয় দেন। বিদেশমন্ত্রী লেখেন, ইভানজেলিন, তোমার দেশ রাশিয়া আমাদের বহুদিনের মিত্র। চেন্নাইয়ে আমার লোকজন তোমায় সব সাহায্য করবে।
ভারতে ওপেন হার্ট সার্জারি হবে, তাই এক বছরের এক পাকিস্তানি মেয়েকে এ দেশের সরকার মেডিকেল ভিসা দেবে বলেও জানিয়েছেন সুষমা। ট্যুইটারে মেয়েটির মায়ের আবেদনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মেডিকেল ভিসা মঞ্জুর করার কথা জানান তিনি।
হীরা সিরাজ নামে পাকিস্তানি মহিলাটির আর্জি পূরণ করেন। লেখেন, আপনার মেয়ে শিরিন সিরাজের ভারতে ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য ভিসা দেব আমরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাস, জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে সক্রিয় মদতের অভিযোগ সহ একাধিক ইস্যুতে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভাল না থাকা সত্ত্বেও ভারতে চিকিত্সার জন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের মেডিকেল ভিসার আবেদন সহানুভূতির সঙ্গে খতিয়ে দেখে বেশিরভাগ সময়ই মঞ্জুর করেন সুষমা।