নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্কট মোচনে রাজ্যের স্বীকৃত দলগুলির সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে আজাদির দাবি তোলা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথা বলবে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। সু্প্রিম কোর্টে সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার শুধুমাত্র আইনত স্বীকৃত পক্ষগুলির সঙ্গেই আলোচনার টেবিলে বসতে পারে, যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্তি বা আজাদির ইস্যুু তুলছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না।
তাঁর মত সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্টও শুক্রবার বলেছে, আইনে যাদের মানা নেই, তারা সকলেই মতামত, প্রস্তাব নিয়ে একত্রে বসতে পারে, কেননা পরিস্থিতি খুব পরিষ্কার নয়।


শীর্ষ আদালতে কাশ্মীরে বিক্ষোভ সামলাতে পেলেট গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে শ্রীনগরের জম্মু ও কাশ্মীর বার অ্যাসোসিয়েশন। কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে সরকার আলোচনার রাস্তায় আসছে না বলে অভিযোগ করে তারা। যদিও তা খারিজ করে দেন রোহাতগি। তিনি পাল্টা বলেন, সম্প্রতি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর।
পাশাপাশি শীর্ষ আদালত বলেছে, নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে পাথর ছোড়া বন্ধ হওয়ার আশ্বাস পেলেই পেলেট গানের ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলা হবে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে।
প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়া, ভয়াবহ হিংসাত্মক বিক্ষোভ বন্ধে কী করা যেতে পারে, সে ব্যাপার বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব চায়। কাশ্মীরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাতে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনা যায়, সেজন্য বার অ্যাসোসিয়েশনকেই 'প্রথম পদক্ষেপ' করতে বলে সর্বোচ্চ আদালত। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রস্তাব দিতে বলে। কিন্তু তারা সব পক্ষের হয়ে নয়, কেবলমাত্র আইনজীবীদের হয়েই কথা বলতে পারে, জানায় বার অ্যাসোসিয়েশন। এতে বেঞ্চ ক্ষোভ জানায়। এখানে এসে একথা আপনারা বলতে পারেন না, মন্তব্য করে বেঞ্চ।

৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে বেঞ্চ। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এস কে কাউল।