একবছর ধরে আলাদা থাকছিলেন অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর আক্রান্ত স্বামী। চার সন্তানের জননী দিন কয়েক আগেই ফের আসেন তাঁর স্বামীর কাছে। তারপরই এই কাণ্ড ঘটল। সারাসুকে গুডিয়াথাম থানার পুলিশ থুথিপাট্টু এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। ভি কোট্টাতে নিজের বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন সারাসু। তাঁদের একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে গতবছর থেকে তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন। গত ১৭ জুলাই নিজের একমাত্র ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি আসেন সারাসু। তখনই ছেলে অনুরোধ করে, তার মা যেন তার বাবার সঙ্গে থাকেন। ছেলে-মেয়েরা ঠাকুমা-দাদুর কাছে থাকলেও এই দম্পতি লিঙ্গুনড্রামে নিজেদের বাড়িতে চলে যান।
গত বুধবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি আসেন সারাসুর স্বামী জগদীসান। এরপরই দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। জগদীশান সারাসুর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ আনেন। পাল্টা স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ আনেন সারাসু। সারাসুর দাবি, তাঁর স্বামী তাঁকে বলেন, তিনি বুড়ো হয়ে গেছেন। তাই তিনি অন্য মহিলাকে শীঘ্রই বিয়ে করতে চান। এছাড়া সারাসুর অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণও করতে গিয়েছিলেন স্বামী। এরপরই রাত তিনটে নাগাদ স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যান সারাসু।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ভেল্লোর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। মহিলার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ২৯৪ বি, ৩২৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।