নয়াদিল্লি: এনআইএ-র ডিএসপি তানজিল আহমেদ হত্যায়, অফিসারেরই এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গত শনিবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে এক আত্মীয়ের বিয়ে থেকে ফেরার সময় খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় তানজিল আহমেদকে। এই হামলায় গুরুতর আহত হন তানজিলের স্ত্রী ফরজানাও। উল্লেখ্য তানজিল পাঠানকোটকাণ্ড ও খাগড়াগড়কাণ্ডের তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর হত্যায় সন্ত্রাবাদীযোগের অভিযোগ তোলেন নিহত অফিসারের পরিবার। কিন্তু বুধবারই এই হত্যা মামলায় সামনে আসে এক নয়া তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তানজিলের এক আত্মীয় রিহানকে। পুলিশের দাবি তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল।


পুলিশ সূত্রের দাবি, রিহান আহমেদ-এর শ্যালকের ছেলে। সেদিন বাইকটি রিহানই চালাচ্ছিলেন। গুলি চালিয়েছিলেন মুনির নামের অপর এক ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাদের জেরার মুখে একথা নিজে মুখে স্বীকারও করেছেন রিহান।

স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়েই দিন কয়েক ধরে রিহানের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল পুলিশ। তবে এই হত্যাকাণ্ডে অপর অভিযুক্ত মুনির এখনও পলাতক। তবে ঠিক কি কারণে আহমেদকে হত্যা করলেন রিহান, সেবিষয় তিনি স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এএনআই সূত্রে খবর, বিজনৌরে তানজিলের গ্রামে বসেই তাঁকে হত্যার ছক কষা হয়। যে বাইকটিতে চড়ে তানজিলকে হত্যা করা হয়, সেটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্ভবত জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই হত্যা বলে ধারণা পুলিশের।