নয়াদিল্লি: নোট বাতিলের পরে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে ১৩০ কোটি নগদ ও অলংকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, আরও ২ হাজার কোটি টাকার অঘোষিত অর্থের কথা স্বীকার করেছেন করদাতারা। মঙ্গলবার এমনটাই জানাল আয়কর দফতর। তারা জানিয়েছে, গুরুত্ব অনুযায়ী প্রায় ৩০টি মামলাকে ইডি ও সিবিআই-এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষ কর সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় বোর্ড (সিবিডিটি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮ নভেম্বরের পর থেকে আয়কর দফতর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়ে প্রায় ৪০০টি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এতে ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের নগদ ও অলংকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
পাশাপাশি, আরও ২ হাজার কোটি টাকার অঘোষিত আয়ের হদিশ মিলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকটি মামলার পরিধি আয়কর দফতরের এক্তিয়ারের ঊর্ধ্বে হওয়ায় সেক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআই-এ সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বহু মামলা এমন রয়েছে, যেখানে নতুন নোটে ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আয়কর বিভাগের বেঙ্গালুরু ইউনিট এমন ১৮টি মামলা ইডি-র কাছে পাঠিয়েছে। একইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে লুধিয়ানা, হায়দরাবাদ, পুণে এবং ভোপাল থেকেও বিভিন্ন মামলা পাঠানো হয়েছে।
কালো টাকা ও সন্ত্রাসের ওপর বড় পদক্ষেপ নিয়ে গত ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রেক্ষিতে তিনি সকলকে আহ্বান জানান, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করতে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, প্রায় ১৪ লক্ষ কোটি মূল্যের ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট দেশের বাজারে চালু ছিল। আরবিআই-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে সিবিডিটি জানিয়েছিল, দেশের বিভিন্ন জনধন অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ পরিমাণের হিসেব-বহির্ভূত অর্থ জমা পড়েছে, যেখান থেকে কখনও আয়কর রিটার্ন দাখিল করাই হয়নি। এই নিয়ে সতর্কও জারি করেছে কেন্দ্র।