সালেম (তামিলনাড়ু): দিল্লির ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বরের স্মৃতি উসকে তামিলনাড়ুর বাসে কিশোরীকে গণধর্ষণ।


গতকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া ১৫ বছরের মেয়েটি রাস্তায় এদিক সেদিক উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। দুপুরে একটি বাসে উঠে পড়ে সে। অনেক রাত পর্যন্ত বাসে বসেই নানা জায়গায় ঘুরতে থাকে মেয়েটি। ততক্ষণে তার সঙ্গে আলাপ জমে ওঠে বাসের দুই চালক মনিভান্নান, মুরুগান ও কন্ডাক্টর পেরুমলের সঙ্গে। রাতে তিনজন সালেমে গ্রামের রাস্তায় বাস থামিয়ে পালা করে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

গ্রামের লোকজন মেয়েটির কান্না শুনে পুলিশকে খবর দেয়। তিন অভিযুক্তই ধরা পড়ে। তাদের গ্রেফতার করে জেরা করা হচ্ছে। মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনেও তোলা হয় তাকে।

জেলা প্রশাসনের অফিসাররাও মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশ নাকি এমন আরেকজনকে খুঁজছে যে মেয়েটির ওপর যৌন নিগ্রহে জড়িত না থাকলেও গোটা ব্যাপারে যুক্ত।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, শিশু নিগ্রহ রোধ আইন পকসো ও তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর নির্যাতন রোধ আইনের মোট ৯টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

দিল্লিতে রাতের বাসে ৫ বছর আগে ২৩ বছরের যুবতী পড়ুয়ার ওপর পাশবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আন্দোলন কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। তারপর আইনে বদল হলেও বন্ধ হয়নি ধর্ষণ সহ মেয়েদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন।