রায়গড়: ছত্তিশগড়ের রায়গড় জেলায় গণধর্ষণের শিকার ১৭ বছর বয়সি এক তরুণী। তিনি অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক।

 

এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু জন নাবালক। বাকি অভিযুক্তরা হল মোহন সাহু (৫০), মহেশ সাহু (২৫) ও গুলশন চন্দ্র (২১)। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬ (ছ) ধারায় গণধর্ষণ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা শ্রমিক। তাঁরা অন্যত্র কাজ করতে গিয়েছিলেন। ওই তরুণী ও তাঁর দিদি বাড়িতে ছিলেন। গত ২৩ মে রাতে অভিযুক্তরা তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। নির্যাতিতার দিদিকে একটি ঘরে আটকে রেখে তাঁরা একে একে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

 

ভয়ে বা লজ্জায় নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি। সেই রাতেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁকে রায়গড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পুলিশে খবর দেন। এরপরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।