নয়াদিল্লি: দেশে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান ‘তজস’-এর ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্তিকরণকে বিশেষ মুহূর্ত বলে চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


শুক্রবার ট্যুইটারে তিনি লেখেন, দেশে তৈরি তেজসের বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্তি আমাদের হৃদয় অতুলনীয় খুশি এবং গর্বে ভরে গিয়েছে। এর জন্য তিনি দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এবং অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এডিএ)-র ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনের গুণগত মান এবং শক্তি এর থেকেই প্রমাণিত।

মোদীর পাশাপাশি প্রশংসা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরও। অন্তর্ভুক্তিকরণকে তিনি দেশের গর্বের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি ট্যুইটে লেখেন, গর্বের মুহূর্ত। দেশে তৈরি তেজস বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হল। এর ফলে আমাদের শক্তি অন্য মাত্রা পেল। প্রধানমন্ত্রীর মতো তিনিও সাফল্যের জন্য হ্যাল ও এডিএ-র প্রশংসা করেন।

প্রসঙ্গত, এদিনই প্রথম ২টি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস-কে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বেঙ্গালুরুতে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা ও হ্যাল-এর শীর্ষ পদাধিকারীরা। তেজস-এর জন্য বায়ুসেনায় নতুন স্কোয়াড্রনও গঠন করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লাইং ড্যাগার্স ৪৫’।

গত তিন দশক ধরে দীর্ঘ গবেষণার পর এই বিমান বাস্তব রূপ পেয়েছে। প্রথম দু বছর এই স্কোয়াড্রন বেঙ্গালুরুতে থাকবে। পরে তা তামিলনাড়ুর সুলুরে স্থানান্তরিত হবে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে অন্তত ছ’টি যুদ্ধবিমানকে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরের বছর হাতে আসবে আরও ৮টি তেজস।

প্রসঙ্গত, বুড়ো হয়ে যাওয়া রুশ-নির্মিত ‘মিগ-২১’ যুদ্ধবিমানের পরিবর্ত হিসেবেই বায়ুসেনায় ধীরে ধীরে জায়গা করে নেবে তেজস। ভবিষ্যতে মাঝ-আকাশে যুদ্ধে এই বিমান হয়ে উঠবে বায়ুসেনার প্রধান কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট রুশ ‘সুখোই-৩০এমকেআই’-এর যোগ্য সহযোগী। তেজস-এর নামকরণ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।