জগটিয়াল: দাদা-বৌদি বন্দি করে রেখেছিলেন ২৫ বছরের বোনকে। অবশেষে পুলিশ উদ্ধার করল ওই তরুণীকে। গীতা নামে নির্যাতিতা মানসিক দিক থেকে অসুস্থ  হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
গীতা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজন তাঁর ওপর অত্যাচার চালাত। তাঁর কথা কেউ শুনতে চাইত না।
গীতা বলেছেন, ‘আমি  কেঁদেছি, দাদা-বৌদিকে কতবার বলেছি। কিন্তু ওরা আমার কথা পাত্তা দেয়নি। শিকলে বাঁধা থাকায় আমার হাত ব্যাথা করত। তারপরও ওরা আমায় বেঁধে রাখত। প্রত্যেকদিন লঙ্কার গুঁড়ো মেশানে কাপড়ের টুকরো দিয়ে আমার নাক-মুখে চেপে ধরত। একটা ঘরে বন্দি করে রাখা হত আমাকে। সেই ঘরের বাইরে বেরোতে দেওয়া হত না। শৌচাগারেও যেতে দিত না। যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন আমার বাবা-মা মারা গিয়েছিলেন। তখন থেকেই আমি দাদার সঙ্গে থাকতাম’।
পুলিশ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। জগটিয়ালের পুলিশ সুপার অনন্ত শর্মা বলেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো ঘটনা ও নির্যাতিতাকে নিয়ে খোঁজখবর করেছেন। কয়েকজন প্রতিবেশী বলেছেন, ওই তরুণী মানসিকভাবে অসুস্থ।  সুচিকিত্সার ব্যবস্থার জন্য তরুণীকে আদালতে পেশ করা হবে।