নয়াদিল্লি: করোনার কোপে গোটা দেশ। মহামারী কাঁপুনি ধরিয়েছে দেশেও। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, গুজরাত থেকে অরুণাচল, ভূ-ভারতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯০। এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। এদের মধ্যে তেলঙ্গানায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। ওই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৭০ জন। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ঘোষণা, “নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হলে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাসমুক্ত হবে তেলঙ্গানা।”



রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেসিআর বলেন, “২৫ হাজার ৯৩৭ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। সরকার তাদের ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। ৭ এপ্রিল তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। সোমবার ১ হাজার ৮৯৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরা সকলেই নিরাপদ। এভাবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি চলবে।” তবে তেলঙ্গানায় যে কজন করোনা পজিটিভ রয়েছে তাদের চিকিৎসা চলবে।



তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “রবিবারের তিনটি ঘটনা সহ, রাজ্যে মোট ৭০ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ। এদের মধ্যে একজনকে গত সপ্তাহেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ জনের পরীক্ষা করা হলে দেখা যায় তারাও নেগেটিভ। সুতরাং, এখন কেবল ৫৮ জনই করোনা আক্রান্ত রয়েছে।” কেসিআর দাবি করেন, এই ৫৮ জনের মধ্যে ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ বাদে সবার অবস্থাই স্থিতিশীল। তিনি আশাবাদী, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হবে।



(তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও )



প্রগতি ভবনের ওই ভিডিও কনফারেন্সে কেসিআর আরও বলেন, যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন না। আরও একধাপ এগিয়ে তাঁর মন্তব্য, মৃত অবস্থাতেই ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।


এদিনের ওই কনফারেন্সে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ৭ এপ্রিল রাজ্যকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হলেও লকডাউন উঠবে না। যেহেতু গোটা দেশেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে, তেলঙ্গানা সরকার কেন্দ্রের সেই নির্দেশ মেনে চলবে।


সংবাদসংস্থা প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, করোনা মোকাবিলায় তেলঙ্গানা সরকার রাজ্যে কর্মরত ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ১২ হাজার ৪৩৬টি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ করে ভাগ করেছে। লকডাউন চলাকালীন প্রত্যেককে ১২ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরও চাল ও অর্থ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।