নয়াদিল্লি: মাওবাদী দমন অভিযানে বড় সাফল্য তেলঙ্গানা ও ছত্তিশগড় সরকারের। দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথ অভিযানে খতম অন্তত ১২ জন মাওবাদী গেরিলা। মাওবাদী দমনে তৈরি এলিট গ্রেহাউন্ড বাহিনীর তিন সদস্য জখম হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুলিযুদ্ধে জখম সুশীল কুমার নামে এক গ্রেহাউন্ড কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।


শুক্রবার ভোররাতে তেলঙ্গানা-ছত্তিশগড় সীমান্তে বেঙ্কটাপুরম গ্রামের কাছে ঘন জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে দুই পুলিশবাহিনীর তীব্র গুলিবিনিময় হয়। মাওবাদীদের উপস্থিতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট খবর ছিল দুই রাজ্যের পুলিশের কাছে। তারা তাড়াপালাগুট্টা-পুজারিকামকেদু এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সামিল হয় গ্রেহাউন্ড বাহিনীও। তারা মাওবাদীদের দলটিকে ঘিরে ফেলে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু নির্দেশ অগ্রাহ্য করে মাওবাদীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। জবাব দেয় পুলিশও। অভিযানে গুলির লড়াইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়। জয়শঙ্কর ভুলাপল্লি জেলার পুলিশ সুপার আর ভাস্করণ সহ শীর্ষ পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে যান।
সূত্রের খবর, সংঘর্ষে নিহত মাওবাদীদের মধ্যে ৬ জন মহিলা। নিহতদের মধ্যে নিষিদ্ধ মাওবাদীদের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির সম্পাদক হরিভূষণ ওরফে জগন, আরেক শীর্ষ নেতা চুক্কা রাও থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। হরিভূষণের স্ত্রী সামাক্কাও রয়েছেন নিহতদের মধ্যে, এমনটাই অনুমান। মাওবাদীদের তেলঙ্গানা কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে হরিভূষণই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ৩০ লক্ষ টাকা ঘোষিত হয়েছিল তাঁর মাথার দাম। পুলিশের দাবি, তিনি কম করে ৫০টি মামলায় অভিযুক্ত। কয়েকজন মাওবাদী গুলিযুদ্ধের মধ্যেই গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।




জখম পুলিশকর্মীদের বিমানে ভদ্রাচলমে নিয়ে আসা হয়েছে।
সংঘর্ষস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি স্ক্যানার, একটি ল্যাপটপ, নগদ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এই সপ্তাহের শুরুতে ছত্তীসগড়ের দান্তেওয়াড়া এলাকায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন নিরাপত্তাকর্মী জখম হন। সোমবার দুপুরে মুঙ্গেরি ও দুলারগুফা এলাকায় সেই সংঘর্ষটি হয়। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, আজকের যৌথ অভিযানটি চালায় তেলঙ্গানা ও ছত্তীসগড় পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত দল ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড। আজকে যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, সেটা বারসুর এলাকা থেকে ১৮ কিমি দূরে।