নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাই আলতাফ শাহ ও অন্যদের তিহার জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনুমতি চেয়ে দিল্লির আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে মামলায় তাদের জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই মামলায় জড়িয়েছে পাকিস্তানে আশ্রিত, পুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা হাফিজ সঈদও। এছাড়া জহুর ওয়াতালি নামে কাশ্মীর উপত্যকার এক ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। অভিযোগ, পাকিস্তানের একাধিক নেতা, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে তাঁর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নওল কিশোর কপূর নামে এক ব্যবসায়ীরও সঙ্গেও যোগসাজশের অভিযোগ আছে আলতাফের বিরুদ্ধে। আলতাফ, ওয়াতালি, নওল কিশোর, তিনজনই সন্ত্রাসবাদে টাকা দেওয়ার মামলায় এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে রয়েছেন।
১৯ মার্চ ইডি-র আবেদনের শুনানি হবে।
এনআইএ সন্ত্রাসে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার মামলায় ইতিমধ্যেই যে চার্জশিট দিয়েছে, তাতে অভিযুক্তদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিনের নামও রয়েছে। অভিযুক্ত হাফিজ সঈদও। আরও ১০জনকে বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনের নানা কঠোর ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আছে। এরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার চক্রান্ত করেছে, কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি লাগিয়েছে বলেও চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে।