নয়াদিল্লি: কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত সংক্রান্ত মামলায় মুম্বই সন্ত্রাসের মাথা হাফিজ সঈদ, হিজবুল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। এখানকার নির্দিষ্ট আদালতে ১২৭৯ পৃষ্ঠার চার্জশিটটি পেশ করে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চায় তদন্ত সংস্থাটি। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের মাধ্যমে 'ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার চক্রান্তে' অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের।
মামলায় গ্রেফতার দশজনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয় আজই।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইউএপিএ আইনে বিচারকারী সংস্থা ৬ মাসের মধ্যে চার্জশিট না দিলে অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার অধিকারী হন।
তদন্ত চলাকালে পর্যাপ্ত নথিপত্র ও টেকনিক্যাল তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআইএ কর্তারা। ৬০টি জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে প্রায় ৯৫০টি অকাট্য নথি জোগাড় করা হয়েছে, মামলায় ৩০০ জন সাক্ষী আছেন বলে জানা গিয়েছে।
এনআইএ আগেই কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাই আলতাফ আহমেদ শাহ ওরফে আলতাফ ফান্টুস, মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা শাহিদ উল ইসলাম, হুরিয়তের গিলানি শিবিরের মুখপাত্র আয়াজ আকবর, নঈম খান, বসির ভাট ওরফে পীর সইফুল্লা, রাজা মেহরাজউদ্দীন কালওয়ালকে গ্রেফতার করে। মামলার ব্যাপারে তারা গ্রেফতার করে কাশ্মীরী ব্যবসায়ী জহুর আহমেদ ওয়াতালিকেও।
চার্জশিটে নাম আছে প্রাক্তন জেকেএলএফ জঙ্গি বিট্টা কারাটে, চিত্র সাংবাদিক কামরান ইউসুফ ও জাভেদ আহমেদ ভাটেরও।
২০১৬ সালে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি