নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের বোঝা উচিত, ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের টার্গেট পাকিস্তানি সেনা ছিল না। তাঁদের লক্ষ্য ছিল জঙ্গিরা, যারা এর আগেও বারবার প্রতিবেশী দেশের ওপর হামলা চালিয়েছে। আবারও এভাবেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ালেন পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী, বর্তমানে ভারতের নাগরিক আদনান সামি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চপ্যাডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্টাইকের প্রশংসা করেন আদনান সামি। টুইটারে সেনা জওয়ানদের সাফল্যের প্রশংসা করলেও একবারও নাম করেননি পাকিস্তানের। এরপরই টুইটারে তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আক্রমণাত্মক টুইটও করা হয় তাঁর উদ্দেশে।

একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে আদনান বলেন, এই টুইট আমার মনেরই কথা। যাঁরা আমায় নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁদের কাছে মার্জনা চাইছি।আমাদের দেখা দরকার কেন এই স্ট্রাইক হল এবং কাদের বিরুদ্ধে হল। এই স্ট্রাইকের লক্ষ্য ভূখণ্ড অধিগ্রহণ ছিল না। এটা কোনও টেরিটোরিয়াল স্ট্রাইক নয়।আকস্মিক হামলারই পাল্টা জবাব সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।জঙ্গি ক্যাম্পই এর লক্ষ্য ছিল।

আদনান আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও ভৌগলিক সীমানা হয় না। জঙ্গিরা শুধু মুম্বই, পেশোয়ার-এই নয়, প্যারিসেও হামলা চালিয়েছে। মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ চালায় তারা। তিনি আরও বলেন, শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই চান দুটি দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক। কথায় বলে, শিল্পীরা সবসময় শান্তির কথা বলেন। তাঁদের শান্তির বার্তাবাহক বলা হয়। এটা ঠিক। কিন্তু আমি মনে করি, শুধু শিল্পীরাই নন, সমস্ত সাধারণ মানুষই চান শান্তি-পরিস্থিতি বজায় থাকুক। আরও বলেন, যদি আমি দেখি, আমার প্রতিবেশীর বাড়ির জমা আবর্জনা আমার বাড়িতে ঢুকছে, সেটা কি ঠিক? আমার কী করা উচিত? আমি তাদের গিয়ে বলব জঞ্জাল পরিস্কার করতে। তাই পাকিস্তানের মানুষের কাছে সামি আর্জি জানিয়েছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে সন্ত্রাস নির্মূল করতে হাতে হাত দিয়ে লড়ুক ভারত-পাকিস্তান। একার ক্ষমতা না থাকলে একসঙ্গে হয়ে লড়াই চালাক। যাতে আমাদের সন্তানরা শান্তিতে এই বিশ্বে বাস করতে পারে।

প্রসঙ্গত, গতবছর ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় পাক সঙ্গীতশিল্পী আদনানকে। ২০১৫-র মে মাসে পাক সরকার আদনানের পাসপোর্ট রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এরপরই ভারত সরকার তাঁকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য ভারতে থাকার অনুমতি দেয়।