শ্রীনগর: কাশ্মীরের ত্রালে জঙ্গি হামলার বলি ২ জন সাধারণ নাগরিক। এঁদের একজন কলেজপড়ুয়া।

বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীনগরের দক্ষিণে ত্রালের জনবহুল বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসবাদীরা।

ঘটনাস্থলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী নঈম আখতারের কনভয়।  সম্ভবত হামলার টার্গেট ছিলেন তিনিই। যদিও তিনি রক্ষা পেয়েছেন,  তাঁর গাড়িচালক জখম হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন ১২ জন নিরাপত্তাকর্মী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাসি চলছে।

কয়েকটি সূত্রে বলা হচ্ছে, আহতদের আট আধাসামরিক জওয়ান, চারজন পুলিশকর্মী। কয়েকজন পথচারীরও গ্রেনেডের ঘায়ে আঘাত লেগেছে। নিহতরা হলেন ৫৬ বছরের গুলাম নবি ত্রাগ, ১৭ বছরের পিঙ্কি কৌর।

নঈম এলাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে ও আরও কিছু কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষ্যে ওই এলাকায় এসেছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি ঠিক আছি।

বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাঁর জনসংযোগ কর্মসূচি, প্রশাসনকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ বানচাল করতেই এই হামলা করা হল।

ঘটনাচক্রে কাশ্মীরের পুলওয়ামা রাজ্যে সন্ত্রাসবাদের নতুন অধ্যায়ের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বলে অভিমত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের। ত্রালেরই ঘরের ছেলে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি ও সবজার ভাট। গত গ্রীষ্মে হিংসা চরমে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরেই। তারই ধারাবাহিরকতায় আজকের গ্রেনেড বিস্ফোরণ।

নঈম মন্ত্রী, শাসক জোটের দল পিডিপি-রও নেতা। দলের যুবশাখার সভাপতি ওয়াহিদ-উর-রহমান ট্যুইট করেছেন, নিরীহ মানুষের হত্যা কাপুরুষতা। ত্রালের উন্নয়নে যারা দায়বদ্ধ, কোনও কিছুতেই তাদের কন্ঠরোধ করা যাবে না।



হামলার নিন্দা করে বিরোধী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ট্যুইট, নিন্দা করছি হামলার। নঈম আখতার সুস্থ, ভাল আছেন, এটা ভাল খবর। হতাহতদের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই।