নয়াদিল্লি: দিল্লির আদালত সুনন্দা পুস্কর মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে সমন পাঠাল শশী তারুরকে। তাঁকে ৭ জুলাই আদালতে হাজির হতে বলেছে আদালত।

কংগ্রেসের তিরুঅনন্তপুরমের এমপি তারুরকে অস্বস্তিতে ফেলে অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশাল বলেছেন, সুনন্দা মামলায় অপরাধ সংঘটিত করেছেন ধরে নিয়ে তারুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ও ৪৯৮ এ ধারায় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

তারুরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে দুটি ধারায়। ৪৯৮ এ (মহিলার ওপর স্বামী বা তার আত্মীয়ের নিষ্ঠুরতা) , ৩০৬ ধারাটি আত্মহত্য়ায় প্ররোচনা সংক্রান্ত।
৪৯৮-এ তে দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা তিন বছর জেল। ৩০৬ ধারায় মেলে দশ বছরের কারাবাস।

তারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুনন্দাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, তাঁর প্রতি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গ্রহণ করেছেন বিচারক। বলেছেন, সরকারি কৌঁসুলির বক্তব্য শুনেছি। চার্জশিট ও তার সঙ্গে জমা দেওয়া নথিপত্র খতিয়ে দেখেছি। পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে শশী তারুরের বিরুদ্ধে ওঠা প্রয়াত সুনন্দা পুস্করের আত্মহত্যায় ইন্ধন দেওয়া ও তাঁর প্রতি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আমি গ্রহণ করছি।

তারুরকে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ডাকা হবে কিনা, সে ব্যাপারে গত ২৮ মে রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত।
গত ১৪ মে দিল্লি পুলিশ আদালতে বলে, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে, তাই সুনন্দা পুস্করকে আত্মহত্যায় মদতের অভিযোগে এই মামলায় তারুরকে অবশ্য অভিযুক্ত হিসাবে ডাকা উচিত। প্রায় ৩ হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট পেশ করেছে তারা। তাতে তারুরই একমাত্র অভিযুক্ত। প্রধান সাক্ষীদের অন্যতম তারুর ও সুুনন্দার পারিবারিক ভৃত্য নারায়ণ সিংহ।

২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি রাতে এক বিলাসবহুল হোটেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সুনন্দাকে।

এদিকে তারুরের আইনজীবী বিকাশ পাওয়া আদালতের নির্দেশ ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, সরকারপক্ষের বক্তব্য পুরোপুরি অবাস্তব, অযৌক্তিক, সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের পরিপন্থী। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে না। আমরা চার্জশিট ও যেসব নথিপত্র সরকারপক্ষ পেশ করেছে, সেগুলির কপি চাইব। তা খতিয়ে দেখে আগামী কর্মপন্থা ঠিক করব। তারুর সবরকম আইনি রাস্তায় যাবেন।