মুম্বই: ৭০ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল অভিনেতা বিনোদ খন্নার। আজ সকাল ১১.২০ মিনিটে অ্যাডভান্সড ব্লাডার কারসিনোমার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।


দিল্লির ক্যান্সার রেজিস্ট্রি অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মানুষজন, তার মধ্যে ব্লাডার ক্যান্সার ছিল ষষ্ঠ স্থানে। মুম্বইয়ের ইউরোলজিস্ট প্রদীপ রাও বলেছেন, অত্যধিক মাত্রায় তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে ব্লাডার ক্যান্সার হয়। ভারতে এই রোগ বেশিমাত্রায় দেখা যায়। অ্যাডভান্সড ব্লাডার ক্যান্সার মারাত্মক রোগ। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে। যেটা বিনোদের ক্ষেত্রে হয়েছে।

জয়পুরের মেডিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট অসীম সমর বলেছেন, তিনি যে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি আসেন। ব্লাডার ক্যান্সার বেড়ে গেলে শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে ফুসফুস, যকৃৎ, এমনকী হাড়কেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সারা বিশ্বে চার লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত। সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদেরই এই ক্যান্সার হয়। গড়ে ৬০ বছর বয়সি ব্যক্তিদেরই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। গঙ্গার কাছাকাছি অঞ্চলে যাঁরা বাস করেন, তাঁদেরই এই ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ এখনও জানা যায়নি।

ব্লাডার ক্যান্সার হলে মূত্রের সঙ্গে রক্ত পড়ে, মূত্রত্যাগের সময় যন্ত্রণা হয়, ঘনঘন মূত্রত্যাগের প্রয়োজন হয় অথচ মূত্রত্যাগ করতে গিয়ে সমস্যা হয়। এছাড়া মূত্র সংক্রমণ, টিউমার, ব্লাডার স্টোনের মতো রোগও হয়। তাই এই ধরনের সমস্যা হলেই চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাডার ক্যান্সার এড়াতে হলে ধূমপান করা চলবে না। যাঁরা রঙশিল্প, চর্মশিল্প, কাপড়ের কারখানা বা ছাপাখানায় কাজ করেন, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষ করে ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।