নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের মহামায়া নগর জেলার এক অখ্যাত গ্রাম। নাম নাগলা ফতেলা। এহেন এই অজানা গ্রামের নাম স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এসেছিল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, দিল্লি থেকে মাত্র তিন-ঘণ্টার রাস্তা হলেও, এই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছতে লেগে গিয়েছে ৭০ বছর।


এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইটার পেজেও এই গ্রামের ছবি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, স্থানীয় মানুষ সরাসরি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখছেন। দাবি করা হয়েছিল, জীবনে এই প্রথমবার তাঁরা এই স্বাদ পেলেন।

তবে, ভুল ভাঙতে বেশিক্ষণ লাগেনি। পরের দিনই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় আসল সত্য। প্রধানমন্ত্রীর এই দাবি ভুল বলে উল্লেখ করে গ্রামবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের পাল্টা দাবি, সেখানে প্রায় ৬০০ বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ৪৫০-টিতেই বিদ্যুৎ নেই।

শুধু তাই নয়। গ্রামপ্রধান যোগেশ কুমার দাবি করেন, যে ১৫০ বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে, তাও হুকিং করে নেওয়া। বলা হয়েছে, গ্রামে ২২টি টিউবওয়েলের জন্য যে ট্রান্সফর্মার বসানো হয়েছিল, সেখান থেকেই ওই বিদ্যুৎ চুরি করা হয়েছে।

যদিও, তিনি স্বীকার করেন যে দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনার আওতায় গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি, তার সব রয়েছে। তবে নেই বিদ্যুৎই। প্রাক্তন প্রধানের দেবেন্দ্র সিংহ বলেন, সম্ভবত ছবিটি পাশের গ্রাম নাগলা সিন্ধি-র।

এদিকে, এই ঘটনায় সরকার পক্ষের তরফে সাফাই দেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এই ভুলের জন্য তিনি পুরো দোষ অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপরই চাপান। তিনি বলেন, কেন্দ্র যা বলেছে, তা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দেওয়া পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই।

এই প্রসঙ্গে অবশ্য অখিলেশ যাদবের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।