আগ্রা: তিনদিন আগে এক তরুণীর নৃশংস হত্যায় অভিযুক্ত অপরাধ কবুল করতে সোমবার থানায় পৌঁছল। কিন্তু থানায় আসার আগেই সে বিষ খেয়ে নিয়েছিল। হাসপাতালে তার মৃত্যু হল।
কয়েকদিন আহে আগ্রার খেড়াগড় গ্রামে এক পরিত্যক্ত কাঠামো থেকে বছর ১৯-এর এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে এবং বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়। এরইমধ্যে সোমবার থানায় চলে আসে অভিযুক্ত। পুলিশের সামনে নিজের অপরাধ কবুল করে সে। কিন্তু থানায় আসার আগেই বিষ খেয়েছিল সে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবক মোরেনা জেলার বাসিন্দা। তার নাম হেথসিংহ তোমর বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিষ মথুরা থেকে কিনেছিল হেথসিংহ। মৃত্যুর আগে পুলিশের তোলা একটি ভিডিওতে তাকে নিজের অপরাধ কবুল করতে নিতে দেখা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হেথসিংহ তার প্রেমিকা গৌরির বোনের সঙ্গে দেখা করতে বারেবারেই তাঁদের বাড়ি যেত। এসএন মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর আগে সে কবুল করেছে যে, তার প্রেমিকা গৌরি একসঙ্গে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসায় সে ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত তরুণীর প্রতিবেশীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হেথসিংহর বোনের। এই সূত্রেই গৌরির সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে ওঠে।বোনের সঙ্গে দেখা করার নামে সে নিয়মিত গৌরির কাছে যেত। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে সে গৌরিকে মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছিল। কয়েকমাস আগে গৌরির অন্য এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তিনি ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতেন। এ কথা জানতে পেরে চরম ক্ষুব্ধ হয় হেথসিংহ। এ নিয়ে দুজনের বচসাও হয়। গত ৩০ নভেম্বর হেথসিংহ গৌরিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পরিত্যক্ত কাঠামোর কাছে ডাকে।ভালোবাসার ‘প্রমাণ’ দিতে সে গৌরিকে আত্মহত্যা করতে বলে। গৌরি তা করতে অস্বীকার করেন। এরপরই হেথসিংহ গৌরির গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়।
এরপর পুলিশ তাকে খুঁজছে জানতে পেরে হেথসিংহ মোরেনাতে চলে যায়।
পুলিশ সুপার (গ্রামীন পশ্চিম) রবি কুমার বলেছেন, থানায় আসার আগে হেথসিংহ জলের সঙ্গে কোনও বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে পান করেছিল। থানায় এসে সে চিত্কার করে বলতে থাকে যে, ‘আমি আমার ভালোবাসা গৌরিকে মেরে ফেলেছি’।
হেথসিংহর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।