বেহাঙ্গা, মান্ডলা: মধ্যপ্রদেশের মান্ডলা জেলার বেহাঙ্গা গ্রামে কোনও বিধবা নেই। কারণ, ওই গ্রামে গোন্ড  উপজাতির মধ্যে প্রচলিত নিয়ম আছে, গ্রামে কোনও বিধবা মহিলা থাকবে না। মহিলারা বিধবা হলেই তাঁদের পরিবারের যেকোনও পুরুষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হবে, হতে পারে সেই পুরুষ সম্পর্কে মহিলার নাতি।

তবে যদি কোনও মহিলাকে কোনও পুরুষ বিয়ে করতে রাজি না থাকেন, বা অবিবাহিত পুরুষ না থাকে, তাহলে তাঁকে একটি রুপোর বালা দেওয়া হয়। এই রুপোর বালাকে বলা হয় 'পাটো'। তারপর ধরে নেওয়া হয় সেই মহিলা ফের বিবাহিত, এবং তাঁকে যাঁরা বালা উপহার দিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেই থাকতে হয়।

পতিরাম ওয়ারখাদে যখন মাত্র ছ বছরের শিশু ছিলেন, সেসময় তাঁর দাদু মারা যান। ‘নাতি পাটো’ নিয়ম অনুযায়ী ঠাকুমার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় নাতির। পরে যদিও পতিরাম ফের তাঁর পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেন, কিন্তু তাঁর স্ত্রীর পরিচয় ছিল দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবেই। ঠাকুমার মৃত্যুর পর পতিরামের পছন্দের পাত্রী প্রথম স্ত্রীর মর্যাদা পান।

এধরনের সম্পর্কের মধ্যে অবশ্য শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে আপত্তি করে না এই উপজাতির লোক। তবে বয়সের বিশাল ফারাকের জন্যে শারীরিক সম্পর্ক কমই হয়।