নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ভারত। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণের সাজা কার্যকর না করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। এরইমধ্যে তাত্পর্য্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ভারতে নিযুক্ত বিদায়ী পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। তিনি বলেছেন, কূলভূষণকে নিয়ে পুনর্বিবেচনার অবকাশ তো এখনও রয়েছে। ভারতের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বাসিত বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ঘোষণা পর্যন্ত  কুলভূষণের ফাঁসি স্থগিত রাখবে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত।


নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের কয়েকদিন আগে ২০১৪-তে বাসিত নয়াদিল্লিতে ইসলামাবাদের দূত নিযুক্ত হয়েছিলেন। এবার দায়িত্ব থেকে সরছেন তিনি।

বিদায়ী পাক রাষ্ট্রদূত বলেছেন, কুলভূষণের জন্য এখনও আশার আলো রয়েছে। আদালতে কুলভূষণের আর্জি খারিজ করলে সেনা প্রধান বা প্রেসিডেন্ট তাঁরা সাজা বিবেচনা করবেন। কূলভূষণের বিচার হয়েছে, তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তাঁর আবেদন জানানোরও অধিকার রয়েছে। আদালতে আর্জি নাকচ হলে তিনি সেনা প্রধানের কাছে সাজা মকুবের আবেদন জানাতে পারবেন। সেখানেও আর্জি খারিজ হলে তিনি প্রেসিডেন্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন। তাই এখনও পুনর্বিবেচনার অবকাশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাসিত।

উল্লেখ্য, পাক সামরিক আদালত কুলভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়ার পর গত ৮ মে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। ভারত বলেছে যে, পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে এবং উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বিচারের নামে প্রহসন করে কূলভূষণনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের দাবি, কূলভূষণকে গত বছরের মার্চে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ভারত বলেছে, তাঁকে ইরান থেকে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে আসে আইএসআই।