জয়পুর:  আজ থেকে পাঁচ বছর আগে জয়পুরের এক বস্তিতে এগারো বছরের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল তারই পরিবার। প্রতিবাদ করার সাহসটুকু ছিল না ছোট্ট অঞ্জুর (নাম বদলে দেওয়া হয়েছে)। তার থেকে পাত্র ছিল ১২ বছরের বড়। দিন কয়েক আগে ষোল বছর পূর্ণ করে অঞ্জু। এবার তার বাড়ির লোক পড়াশোনা করার বয়সে তাকে পাঠিয়ে দেয় স্বামীর সংসারে।


পরিবারকে পাশে না পেলেও, মেয়েটি জানত না তার স্কুলে একগুচ্ছ বন্ধু রয়েছে, যারা তাকে ফিরিয়ে দেবে তার স্বপ্ন।

বন্ধু একদিন স্কুলে না আসায়, অঞ্জুকে পাগলের মতো খুঁজতে শুরু করে তার বন্ধুরা। পুলিশের থেকে তারা কোনওরকমের সাহায্য পায়নি। এরপর আচমকাই জেলা কালেক্টরকে ফোন করলে, তিনিই তত্পরতা নিয়ে অঞ্জুর শ্বশুরবাড়িতে লোক পাঠান। তারপর সেখান থেকে নাবালিকাকে ফিরিয়ে এনে, তাকে ফের স্কুলমুখো করা হয়েছে। সত্যিই এইরকম বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের।

এখনও ভারতের গ্রামে, বিভিন্ন নিম্নবিত্ত পরিবারে চালু রয়েছে বাল্যবিবাহ। সেখানে দাঁড়িয়ে শিশুদের মধ্যেই অন্য রকম কিছু করে দেখানোর প্রচেষ্টা সত্যিই কুর্ণিশ জানানোর মতো।

এব্যাপারে আপনাদের মতামত জানার, নীচের কমেন্ট বক্সে ক্লিক করে।