নয়াদিল্লি: একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য চোর। প্রত্যেকই দিল্লি মেট্রোর যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করছিল। দিনে ২০ থেকে ২৫টি মোবাইল ফোন চুরি করত এই চোর পরিবারের সদস্যরা। সোমবার একজন গ্রেফতার হওয়ার পর এই চক্রের কথা জানা যায়।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (মেট্রো) পঙ্কজ কুমার সিংহ বলেছেন, সোমবার দুপুরে ধরা পড়ার আগে সেদিনও ৯টি মোবাইল ফোন চুরি করেছিল এই দল। তার মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। ধরা পড়া ১৪ জনের প্রত্যেকেই পুরুষ। তারা আগরার কাছে বিষ্ণুপুরা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি মেট্রো স্টেশনের বাইরে টহল দেওয়ার সময় এক যাত্রীর মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার কথা জানতে পারেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগকারীর বর্ণনা অনুযায়ী অভিযুক্তর পোশাক দেখে চিহ্নিত করে মেট্রো স্টেশন থেকেই বচ্চন সিংহকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে চুরি করা মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়।

জেরার মুখে বচ্চন জানায়, তার সঙ্গীরা সবজি মান্ডি থানার কাছে একটি পার্কে বিশ্রাম নিচ্ছে। কাশ্মীরি গেট মেট্রোর পুলিশকর্মীরা সেখানে হানা দেন। তাঁরা ভেবেছিলেন আরও দু’জন চোরকে হয়তো ধরা যাবে। কিন্তু ১৩ জনকে পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ৬ জন নাবালকও ছিল। তাদের কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, ধরা পড়া চোর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, তাদের গ্রামের অনেকেই চুরি করে। তারা অন্য সময় চাষ বা জুতো সারাইয়ের কাজ করে। কিন্তু মোবাইল ফোন চুরিই তাদের আসল পেশা। দু’মাস আগে এই পরিবারের কয়েকজন সদস্য দিল্লিতে এসে বুঝতে পারে, মেট্রোরেলের যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করা সহজ। এরপরেই তারা মাসে দু’বার করে দিল্লিতে এসে মেট্রোরেলের যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করার ছক কষে। তারা একসঙ্গে কাশ্মীরি গেট অবধি বাসে এসে কোনও একটি পার্কে সেদিনের মতো ঘাঁটি গাড়ত। ৫-৬ জনের দু’টি দলে ভাগ হয়ে তারা টিকিট কেটে মেট্রো স্টেশনে ঢুকে মোবাইল ফোন চুরি করত। একজন সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে অন্যমনস্ক করে দিত। তার সঙ্গে থাকা অন্য একজন মোবাইল ফোন চুরি করে দলের অপর এক সদস্যর কাছে পাচার করে দিত। সে আবার অন্য এক সঙ্গীকে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দিত। এভাবেই চলত চুরি।