'নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আলিঙ্গনে তীব্র আপত্তি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরাত কৌর বাদলের। বললেন, কংগ্রেস সভাপতির বোঝা উচিত, এটা সংসদ। উনি এখানে ভাষণ দিচ্ছেন, সিনেমায় অভিনয় করছেন না, এমনকী সঞ্জয় দত্তের 'মুন্নাভাই এমবিবিএস'-এর উদাহরণ টেনেও বলেন, এটা পার্লামেন্ট, মুন্নাভাইয়ের পাপ্পি-ঝাপ্পি নয়।


রাহুল এদিন লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্কে নানা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেও ভাষণ শেষে আচমকা হেঁটে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন, যা নিয়ে জোর আলোড়ন ছড়ায়। হট্টগোলের মধ্যে সভা মুলতুবি হওয়ার পর ফের ভাষণ শুরু করে রাহুল বলেন, তাঁর ভাষণের প্রশংসা করেছেন বিজেপি সদস্যরা, তিনি মোদী সরকারের সমালোচনা করছেন, আর বিজেপির জোটসঙ্গী শিরোমনি অকালি দলের নেত্রীও হাসছেন। রাহুলের এ কথায় উঠে দাঁড়িয়ে আপত্তি করেন ক্ষুব্ধ হরসিমরাত। তবে স্পিকার রাহুলকে ভাষণ চালিয়ে যেতে বলেন। পরে হরসিমরাত বলতে উঠে কংগ্রেস, রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ১৯৮৪-র দাঙ্গায় কয়েক হাজার শিখ হত্যায় দায়ী।
পরে সংসদের বাইরে তিনি কংগ্রেস সভাপতি এদিন 'নাটকবাজি' করেছেন বলে মন্তব্য করেন। জানান, তিনি রাহুলের প্রশংসায় নয়, বিদ্রূপের হাসি হাসছিলেন। হরসিমরাত বলেন, রাহুল অতীতে পঞ্জাবের লোকজনকে মাদকাসক্ত বা 'নসেদি' বলেছেন। ওরা আমাদের পঞ্জাবিদের নেশাগ্রস্ত বলে। আমি তাই হাসিমুখে ওনাকে ইঙ্গিত করে জানতে চাই, আজ উনি কী খেয়েছেন? উনি শুধু আমায় হাসতে দেখেছেন, আমার আসল উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারেননি।




ট্যুইট করেও হরসিমরাত বলেন, জানতাম না, এমন হাসির ভূমিকম্প হবে। রাহুল গাঁধী মুন্নাভাইয়ের একটি দৃশ্য অভিনয় করলেন। অমিতাভ বচ্চনকেও অভিনয়ে হার মানালেন। পঞ্জাব এসে আমাদের নশেদি বলেছিলেন। তাই ওনাকে ইঙ্গিত করে জানতে চাই, আজ আপনি কী খেয়ে এসেছেন?