নয়াদিল্লি: অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, নোট বাতিলের পর, ব্যাঙ্কের হেফাজতে যে বিপুল পরিমাণ পুরনো নোট মজুত হল, তার ভবিষ্যৎ কী?
যদিও, এসব নিয়ে ভাবছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কারণ, নোটগুলিকে কী করা হবে, তা নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রথমে পুরনো নোটগুলিকে খুব ভাল করে বান্ডিল করে রাখা হচ্ছে। সময়মতো, আর্মার্ড গাড়িতে করে ওই বাতিল নোটগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ‘শ্রেডিং সেন্টার’ বা কাগজ গুঁড়ো ও পেশাই করার কারখানায় পাঠানো হচ্ছ।
গুঁড়ো করার পর নোটগুলিকে বস্তায় ভরে তা রিসাইক্লিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে, দুভাবে ওই কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এক, কাগজের বোর্ড তৈরি বা জৈব-জ্বালানি তৈরি করতে।
এমনই একটি কারখানা হল কেরলের ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া প্লাইউড। এই সংস্থা প্লাইউড, হার্ডবোর্ড এবং ল্যামিনেট তৈরি করে। সংস্থার এমডি পিকে ময়ান মহম্মদ জানান, গত তিন সপ্তাহে তাঁর সংস্থায় ১৪০ টন বাতিল নোট এসেছে। তিনি বলেন, এগুলি দিয়ে পেপার পাল্প (কাগজের মণ্ড) তৈরি হবে।
জানা গিয়েছে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওযার আগেই বাতিল নোটগুলির মণ্ড তৈরি করার জন্য মহম্মদের সংস্থাকে নির্বাচিত করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মহম্মদ জানান, প্রথমে ১০-১৫ ব্যাগ পুরনো খারাপ হয়ে যাওয়া নোটের গুঁড়ো দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সংস্থা মুহূর্তের মধ্যেই তাকে মণ্ডে পরিণত করে দেয়।
মহম্মদের দাবি, তাদের কাজের প্রক্রিয়া খুশি হয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছিল, শীঘ্রই ‘বড় বরাত’ আসতে চলেছে। তাঁর দাবি, তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কী ঝড় আসতে চলেছে। প্রতি টন নোটের গুঁড়োর জন্য মহম্মদের সংস্থা আরবিআই-কে ২৫০ টাকা দেয়।
মহম্মদ জানান, প্লাই ও বোর্ডের জন্য প্রতিদিন গড়ে কারখানায় ২০০ টন কাগজের মণ্ডর প্রয়োজন পড়ে। সংস্থার বছরে আ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।