নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদী, জাস্টিন ট্রুডো বৈঠকে শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ ৬টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত, কানাডার মধ্যে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়ে দেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতিকে কেউ চ্যালেঞ্জ করছে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। জল্পনা হচ্ছে, কানাডার সরকার খলিস্তানি সন্ত্রাসের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়ে চলেছে বলে ধারণার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন দ্ব্যর্থহীন ভাবে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন মোদী।
রাজনৈতিক স্বার্থে যারা ধর্মের অপব্যবহার করে, বিচ্ছিন্নতাবাদে ইন্ধন দেয়, তাদের কোথাও স্থান হতে পারে না বলেও অভিমত জানান প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা ভারত ও কানাডার মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলির সামনে বড় বিপদ বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন, আমরা সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে আলোচনা করেছি, সহযোগিতা জোরদার করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপও চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষায় সহযোহিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছি আমরা।
ট্রুডোর খালিস্তানিদের প্রতি নরম অবস্থানের বিষয়টি তাঁর সঙ্গে আলোচনায় তুলেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। যদিও ট্রুডো তাঁকে আশ্বস্ত করে জানান, তাঁর দেশ ভারত বা অন্য কোথাও বিচ্ছিন্নতাবাদ সমর্থন করে না।
প্রায় ২ ঘন্টা বৈঠক শেষে ট্রুডোর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, দুটি দেশের সন্ত্রাসবাদ দমনে একযোগে কাজ করা জরুরি।
প্রায় এক সপ্তাহের ভারত সফরে ট্রুডোর দেশের নানা প্রান্তে যাত্রার প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, উনি নিশ্চয়ই এ দেশের বৈচিত্র্যকে উপলব্ধি করেছেন। ট্রুডো ভারতকে বাণিজ্য সহযোগিতায় কানাডার স্বাভাবিক মিত্র বলে উল্লেখ করেন।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও আজ ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার ট্যুইট করেন, ট্রুডোর সঙ্গে খুব ভাল কথা হয়েছে স্বরাজের। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা, দুটি দেশের দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ার পন্থা নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের।