তিরুঅন্তপুরম: গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর শবরীমালা নিয়ে ভারতের শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছিলে, তা পুনর্বিবেচনা করে ফের একবার রায় ঘোষণা হতে চলেছে। সব বয়সের মহিলাকেই (ঋতুমতী সহ) শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। তবে তা কার্যকর করত কার্যত ব্যর্থ হয় কেরল সরকার। আদালতের রায়কে কার্যকর করার সব রকম চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভের সামনে তা বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টে রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য শীর্ষ আদালতে জমা পড়ে ৬৪টি হলফনামা। ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত আসছে’, এই দাবি করেই আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেন হলফনামা দাখিলকারীরা। বৃহস্পতিবার রায় পুনর্বিবেচনা করে ফের একবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে চলেছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।


ইতিমধ্যেই অযোধ্যা জমি বিতর্কিত মামলার মতো দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্কের নিষ্পত্তি করে দিয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দফতরকে তথ্যের অধিকারের আওতাভূক্ত করার মতো রায়ও দিয়েছেন বিচারপতি গগৈ। ১৭ তারিখ অবসরে যাওয়ার আগে শবরীমলার মতো বিতর্কিত রায়েরও নিষ্পত্তিও করতে চলেছেন তিনি।


এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই আদাতের রায় মেনে চলার বার্তা দিয়ে দিল শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ।  শবরীমালা সহ দক্ষিণ কেরলের সিংহভাগ মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক ত্রিবাঙ্কুর দেবাসম বোর্ডের (টিডিবি) তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শীর্ষ আদালতের রায় মানতে তারা বাধ্য। উল্লেখ্য, বর্তমানে এই বোর্ডের মাথায় বসে রয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক পদ্মকুমার। তিনি জানিয়েছেন, “আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আগামীকাল রায় ঘোষণা। সু্প্রিম কোর্ট যে রায়ই দিক, সরকার এবং টিডিবি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।”  অন্যদিকে কেরল বিজেপি-র মুখপাত্র আশাবাদী, ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবজ্ঞা করবে না, এমনই রায় দেবে শীর্ষ আদালত।