নয়াদিল্লি: টিকটক সহ ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল টিকটকের সিইও কেভিন মায়ের কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গাঁধী ইতিমধ্যেই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ছাঁটাই হবে না। আতঙ্কগ্রস্ত কর্মীদের তিনি বলেছেন যে, এই অ্যাপ সম্পর্কে কী উদ্বেগ রয়েছে, তা জানতে কোম্পানি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যাতে উদ্বেগগুলি সম্পর্কে জেনে তার সমাধান করা যায়।
টিকটক এর আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে. উত্তরদান ও ব্যাখ্যা দিতে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আসোচনায় বসবে। বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
টিকটকের কাছে ভারতীয় বাজারের গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। গত এপ্রিলে গুগল ও অ্যাপল প্লে স্টোর থেকে সবমিলিয়ে যে ২০ লক্ষ ডাউনলোড হয়েছে, তার ৩০ শতাংশের বেশি হয়েছে ভারতে। এদেশ থেকে আরও যে সুবিধাগুলি পায়, সেই বাইটডান্সের মানিটাইজেশন (বৃহত্তম বিদেশী বাজার)-এর শীর্ষে রয়েছে টিকটক ও হেলো। এই উভয় সুবিধা থেকে যৌথভাবে প্রতি ত্রৈমাসিকে ২০-২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আসে এবং চলতি বছর রাজস্ব ১০০ কোটি টাকার লক্ষ্য ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ছিল বলে সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস লকডাউনের সময়ও কোম্পানি কয়েকটি বড় এফএমসিজি, হাইজিন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন কোম্পানির প্ল্যাটফর্মে দেখা গিয়েছে।
এখন ইস্যুর নিরসন কীভাবে হবে, সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিত নয়। নিষেধাজ্ঞা না উঠলে কোম্পানিকে আইনি পথ গ্রহণ করতে হবে।
সরকার এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের উল্লেখ করেছে। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি সংকট কাটিয়ে উঠতে টিকটক-কে স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটতে হবে।
এই নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে ভারতের নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সরকারের উদ্যোগতে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে তাঁরা বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনও অ্যপ নিষিদ্ধ করলেই হবে না। এর পাশাপাশি এ ধরনের কোম্পানিগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কঠোর আইন প্রয়োজন। সেইসঙ্গে আইন রূপায়ণেরও ভালো ব্যবস্থা থাকতে হবে।
অন্যদিকে, টিকটক ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে, তারা ভারতীয় আইন অনুযায়ী সমস্ত তথ্য সংক্রান্ত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পালন করে এবং ভারতের গ্রাহকদের তথ্য চিন সরকার সহ অন্য কোনও বিদেশী সরকারকে জানায়নি।