বেজিং: ভারতের এবার সময় হয়েছে চিন সীমান্তে তাদের সেনাবাহিনীর অনধিকারপ্রবেশ বন্ধ করা। সেইসঙ্গে অবশ্যই দিবাস্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে হবে, দাবি চিনা সংবাদমাধ্যমের। প্রসঙ্গত, ডোকালামে চিনের অংশ হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় যেভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রবেশ করছে, সেটার মধ্যে সুবিধাবাদী মনোভাবই প্রকাশ পাচ্ছে, দাবি বেজিংয়ের সংবাদমাধ্যমের।


বেজিংয়ের দাবি, ভারতের এধরনের পদক্ষেপ কার্যত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত করছে। দিল্লির এধরনের মনোভাব থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, সীমান্তে ভারত চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষতি করেও, ডোকা লা ইস্যুতে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে।

চিনা সংবাদমাধ্যমে আরও দাবি করা হয়েছে, ডোকালাম এলাকায় ভারতের নিজেদের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আগের সীমান্ত সমস্যা থেকে একেবারেই আলাদা। ১৮৯০ সালে গ্রেট ব্রিটেন এলং চিনের মধ্যে একটি চুক্তির স্বাক্ষর হয়। সেখানেই তিব্বত এবং সিকিম নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাতে সবসময়ই সম্মতি দিয়ে এসেছে ভারত ও চিন সরকার। তারপরই চিনা সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বর্তমানে ডোকালামে নিজেদের অধিকার কায়েম করে কার্যত ইতিহাসকেই মানতে চাইছে না দিল্লি। প্রসঙ্গত, সীমান্ত সুরক্ষার নামে যেভাবে অন্য দেশের এলাকায় নাক গলাচ্ছে এবং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে ভারত, সেটা কোনওভাবেই কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র মেনে নেবে না, মত বেজিংয়ের।

তারপর বেজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়, কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে তারা চায় এখনই ভারত-চিনের মধ্যে বেড়ে চলা সমস্যার সমাধান হোক। তবে তার আগে দিল্লিকে ডোকালাম থেকে সেনা সরাতে হবে। সোমবারই চিনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ৯০ বছরের ইতিহাস বলছে পর্বতকে টলানো সম্ভব, কিন্তু পিপিলস লিবারেশন আর্মি বা চিনা সেনাকে টলানো সহজ নয়। আর পিএলএ দেশের ঐক্য বজায় রাখার ব্যপারে বদ্ধপরিকর। তার জন্যে যেকোনও পর্যায় যেতে প্রস্তুত তারা।