দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টিডিডি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত ২০ মার্চ থেকে মন্দিরে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি লকডাউন পর্বে মন্দির ৪০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। অন্যদিকে, এই পর্বে কর্মীদের বেতন, পেনশন ও অন্যান্য খাতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্দির গত ৫০ দিন বন্ধ। ভক্তদের পূজার্চনার জন্য মন্দিরের দরজা কবে খোলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
মন্দিরে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। উত্সবের সময় ভিড় আরও বেশি হয়।
লকডাউনের ফলে ভক্তরা আসতে পারছেন না। ফলে নগদ প্রণামীও আর পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের ৮ হাজার স্থায়ী কর্মী ও প্রায় ১৫ হাজার আউটসোর্স কর্মীদের মাইনে যোগাতে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ ও অন্যান্য উত্স ব্যবহার করেছে।
মন্দিরের এক আধিকারিক সংবাদসসংস্থাকে জানিয়েছেন যে, ফিক্সড ডিপোজিট সহ আয়ের বিকল্প উত্স থেকে টিটিডি বোর্ড প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করতে পারে। এই ফিক্সড ডিপোজিটের বার্ষিক সুদের হার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবর্ষে কর্মীদের বেতন ও পেনশন বাবদ ১,৪০০ কোটি টাকা খরচের হিসেব ধরা হয়েছে। এই খাতে মাসিক খরচ ১২০ কোটি টাকার মতো।
চলতি বছরের গোড়ায় তিরুপতি তিরুমালা ট্রাস্ট ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানত থেকে ১,৩০০ কোটি টাকা তুলেছিল। ইয়েস ব্যাঙ্কের সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই অর্থ তোলা হয়েছিল।
বিভিন্ন দাতব্য কার্যাবলীর পাশাপাশি টিটিডি-র বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাও।