কলকাতা:  নোট বাতিল থেকে রোজভ্যালিকাণ্ডে পরপর দুই সাংসদের গ্রেফতার। কয়েক মাস ধরেই, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধং দেহী মেজাজে ছিল তৃণমূল। সেই সংঘাতকেই চরম পর্যায়ে নিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সোমবার কালীঘাটে সংসদীয় দলের বৈঠকে, বুধবারের সাধারণ বাজেট ও রেল বাজেট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেও তারা সংসদে গরহাজির থাকবে।


বাজেট অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালানোর লক্ষ্যে, আজ দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল মোদী সরকার। কেন্দ্রের এদিনের সর্বদল বৈঠকেও যোগ দেয়নি তৃণমূল।

তৃণমূল যে সাধারণ বাজেট বয়কট করতে চলেছে, ক’দিন আগেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল তৃণমূলনেত্রীর একটি ট্যুইটে। ২১ জানুয়ারি তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সর্বত্রই সরস্বতী পুজো হয়। সে দিন সরকারি ছুটি। এবার, সরস্বতী পুজোর দিনই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ।

এ নিয়ে নাম না করে মোদী সরকারকেও নিশানা করেন মমতা। ট্যুইটারে তিনি লেখেন,

পয়লা ফেব্রুয়ারি, বাজেট পেশের বদলে কেন বড় করে সরস্বতী পুজো করব না? আপনাদের বন্দনা নয়, সবাই সরস্বতী বন্দনা করুক।

২ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা থাকব। সংসদের ভিতরে ও বাইরে প্রতিবাদ চলবে।

তৃণমূলের লোকসভার নেতা, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরপরই তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের অবস্থান।

এদিন কালীঘাটের বৈঠকে, সেই সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়েছে। তবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধায় যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই সৌগত রায়কে লোকসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডার নিয়োগ করা হয়েছে, সুদীপের কাজ দেখাশোনার জন্য।

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামীদিনে মোদী সরকার বিরোধী আন্দোলন কীভাবে চালানো হবে, তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, মোদী-বিরোধী সব দলের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলবে তৃণমূল। নোট বাতিলের সময় থেকে, কংগ্রেসের সঙ্গে যেভাবে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছিল, আগামীদিনে সেটাই করা হবে।