হায়দরাবাদ: আগামীদিনে ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল ভার থাকবে দেশের আপামর মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাঁধেই।


তাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান তৈরি করে দেশের বিশাল জনসংখ্যার ফায়দা তোলাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। এমনটাই মনে করেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।


তাঁর মতে, কর বনাম জিডিপি-র অনুপাতকে উন্নত করা এবং কর-ফাঁকি রোধ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত ভারতের। একইসঙ্গে করদাতাদের অযথা হয়রানিও বন্ধ করতে হবে।


একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেঙ্কাইয়া বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণিই হতে চলেছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। ভারতের বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ শতাংশের গড় বয়স ৩৫-এর নীচে।


এই বিষয়টির ফায়দা তোলাই হল বর্তমান সময়ের দাবি। এর জন্য, যুবসম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে প্রচুর পরিমাণ চাকরি ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। তাঁর মতে, শুধুমাত্র লাখো লাখো ডিগ্রিধারী পড়ুয়া দিয়ে কোনও লাভ নেই। তাঁদের দক্ষ করে তুলতে হবে।


বেঙ্কাইয়া জানান, দেশের প্রথম দুটি বড় আর্থিক সংস্কার হয়েছে যথাক্রমে নরসিংহ রাও এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় চলছে তৃতীয় বৃহৎ সংস্কার।


তাঁর দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তা দেশের আমানত বৃদ্ধি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, কঠোর দেউলিয়া-বিরোধী আইন প্রণয়ন করে ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।


উপ-রাষ্ট্রপতির মতে, একদিকে যেমন কর-ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন। তেমনই, এটাও খেয়াল রাখতে হবে যাতে করদাতাদের অযথা হয়রানি না হয়।


এদিন নোট বাতিল ও জিএসটি-র হয়েও জোর সওয়াল করেন বেঙ্কাইয়া। তাঁর দাবি, এই দুটির মূল লক্ষ্য হল কালো টাকা ও কর-ফাঁকি রোধ করা।