নয়াদিল্লি: পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি রুখতে পাঁচ স্তরীয় প্ল্যানে সায় কেন্দ্রের। বছরের ৩৬৫ দিনই ২৪ ঘণ্টা নজরদারির চলবে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ২৯০০ কিমি দীর্ঘ সীমান্তে। এজন্য সীমান্তে বসবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

 

সিসিটিভি ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজ, রাতের অন্ধকারেও দূর থেকে মানুষজনের আনাগোনা দেখার যন্ত্রপাতি, যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারি চালানোর রেডার,  ভূগর্ভস্থ মনিটরিং সেন্সর, লেসার প্রাচীর বসানো হবে সীমান্তজুড়ে। এর ফলে সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশ, পঠানকোটের মতো হামলা, চোরাচালানের বিপদ পুরোপুরি রুখে দেওয়া যাবে সহজেই, এমনই মনে  করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

 

বলা হচ্ছে, এই সুসংহত সিস্টেমে কোথাও অনুপ্রবেশ হলে একটি যন্ত্র সময়মতো কাজ না করলেও আরেকটি কন্ট্রোল রুমে খবর পাঠিয়ে দেবে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গুজরাত পর্যন্ত একাধিক নদী-নালা, গিরিপথ সহ যে ১৩০টি মানবহীন পোস্ট আছে, সেখানে বসবে লেসার প্রাচীর। জঙ্গিরা এই পথ ধরে একাধিকবার  ভারতে ঢুকেছে।

 

সরকারি কর্তারা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানোর খরচ প্রচুর। কিন্তু এই ‘সার্বিক সুসংহত, সীমান্ত পরিচালন ব্যবস্থা’ই ভবিষ্যতে সীমান্তের পরিস্থিতি হাতের মুঠোয় রাখার একমাত্র বাস্তবসম্মত উপায়। এভাবেই পঠানকোটের মতো আক্রমণ, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান বন্ধ করা যায়।

স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভারত তার পশ্চিম সীমান্ত প্রযু্ক্তি নিয়োগ করে সিল করে দেবে।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক অফিসার জানিয়েছেন, নয়া ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশে সীমাম্তের এপারের সহায়তাকারীদেরও পাকড়াও করতে পারবে নিরাপত্তা বাহিনী। সীমান্তের নজরদারি রেডার ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ঘুরে ছবি তুলবে। ক্যামেরাও প্রতিটি মূহূর্ত সীমান্তের দু দিকেই নজর রাখবে।

 

তবে পুরো  সীমান্ত এলাকায় নজরদারি-প্রযুক্তি একসঙ্গে বসানো  সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, পঞ্জাব ও জম্মুতে ৫ কিমি এলাকা জুড়ে পাইলট প্রকল্প শুরু হয়েছে। দু সপ্তাহ আগে এজন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তারপর সরকার গুজরাত ও পঞ্জাব, প্রতি রাজ্যের ৩০ কিমি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি যন্ত্র বসানোয় সম্মতি দিয়েছে। এভাবে দু বছরে পুরো সীমান্তে প্রযুক্তি নিয়োগের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।