আমদাবাদ: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ত্যাগ করার পরের দিনই মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া।
আগামী মঙ্গলবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের অনশন আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছন তোগাড়িয়া। তার আগে, রবিবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জানান, ২০০২ সালের গোধরা-পরবর্তী সংঘর্ষের সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি ভিএইচপি-র সঙ্গে আর জড়িত নই। আমি হিন্দুদের কল্যাণে কাজ করতে থাকব। হিন্দুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে আমদাবাদে আমি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু কবর।
প্রসঙ্গত, গতকালই গুরগাঁওয়ে হওয়া সংগঠনের আন্তর্জাতিক সভাপতির পদের নির্বাচনে তোগাড়িয়া-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাঘব রেড্ডিকে হারিয়ে জেতেন হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল ভি এস কোকজে। এরপর রাতেই, আমদাবাদে ফিরে এসে ভিএইচপি সদর দফতরে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বলেন, ২০০২ সালের ঘটনাবলির পর থেকেই বর্তমান শাসক দলের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
তাঁর অভিযোগ, গোধরা-পরবর্তী হিংসায় পুলিশের গুলিতে বহু হিন্দুর প্রাণ গিয়েছে। বুঝতে পারেন না, নরেন্দ্রভাই (নরেন্দ্র মোদী) মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কী করে এমনটা হতে পারে? বলেন, কয়েক হাজার হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁদের জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি যোগ করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে, বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ভিএইচপি। অথচ, এখন তিনি (নরেন্দ্র মোদী) গো-রক্ষকদের গুন্ডা বলছেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর ঝাড়খণ্ডের একটি আদালত ১১ জন গো-রক্ষকদের যাবজ্জীবন সাাজ দিল। কংগ্রেস আমলে এমনটা হয়নি বলেও জানান তোগাড়িয়া।
তোগাড়িয়া বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ায় অভিযুক্ত এবং পাকিস্তানি সমর্থকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার করে বর্তমান সরকার। আমি তো ভাবতেই পারছি না, পাক-সমর্থনকারীদের সাহায্য করছে এই সরকার। তিনি জানান, তাঁর অনশনের মূল লক্ষ্য হল, হিন্দুদের কল্যাণ থেকে শুরু করে অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণ, গো-হত্যার ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন।