লখনউ: ৫ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিদিন চলবে অযোধ্যা মামলার শুনানি। এই সময় আর নতুন করে মধ্যস্থতার চেষ্টা অর্থহীন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের অযোধ্যা সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় জয় ঢেলে মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।


সারা ভারত আখড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মহান্ত নরেন্দ্র গিরি ইতিমধ্যেই রবিশঙ্করের প্রচেষ্টা নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, রবিশঙ্করের রাম মন্দির ইস্যুতে কিছু করার নেই। তাঁর এই চেষ্টা পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া কিছু নয়, তার থেকে বরং তিনি নিজের এনজিও চালান।

বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অন্যতম অভিযুক্ত রামবিলাস বেদান্তি আবার এক ধাপ এগিয়ে রবিশঙ্কর ও তাঁর আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, নির্মোহী আখড়া ও সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রাম মন্দির ইস্যু সমাধানের চেষ্টা করে হাততালি কুড়োনোর চেষ্টায় রয়েছেন শ্রী শ্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাম মন্দিরের জন্য তাঁরা লড়াই করছেন, বহুবার জেল খেটেছেন। শ্রী শ্রী কে যে মধ্যস্থতা করবেন।

যদিও নির্মোহী আখড়া পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, মন্দির নিয়ে কোনও বোঝাপড়া বা টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাম জন্মভূমি ন্যাসের চেয়ারম্যান মহান্ত নৃত্যগোপাল দাস অবশ্য রবিশঙ্করের বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগের সমালোচনা করেছেন। তাঁর আশা, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শমত আদালতের বাইরেই অযোধ্যা মামলার সমাধান মিলবে।

অযোধ্যায় পৌঁছে রাম লালার অস্থায়ী মন্দিরে প্রণাম করে মহান্ত নৃত্যগোপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রবিশঙ্কর। পরে বলেন, দেশের মুসলমানরা অযোধ্যায় রামমন্দিরের বিরোধী নন। তাঁর সমাধান প্রচেষ্টার বিরোধিতা করছেন অনেকে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের পক্ষে।