নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় সমস্যা। কেন্দ্রর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঋণখেলাপিদের মধ্যে মাত্র ৫০ জনের কাছেই অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ১.২১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান রাজ্যসভায় পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা।  তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকায় প্রথম ৫০ ঋণখেলাপিদের কাছেই বকেয়া রয়েছে ১,২১,৮৩২ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত তিন বছরে দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের সংখ্যা ৫৫৫৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৬৮৬। এই সময় পর্বে ঋণখেলাপের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি  বেড়ে ২৭,৭৪৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬,১৯০ কোটি টাকা।
দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-এ অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর পরিমাণ ১১,৭০০ কোটি টাকা।
ইচ্ছাকৃতভাবে  ঋণখেলাপের ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া নিয়মকানুন আরও কঠোর করেছে। অর্থমন্ত্রকও বেশ কয়েকবারই ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপিদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু এরপরও ঋণখেলাপিরা ঋণ শোধ করার নামই নিচ্ছে না।
জয়ন্ত সিনহা জানিয়েছেন, পরিকাঠামো, টেক্সটাইল, ইস্পাতের মতো প্রধান ক্ষেত্রগুলির সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রগুলিতেই নন পারফর্মিং অ্যাসেট (এনপিএ)-র সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সরকারি পদক্ষেপে ওই ক্ষেত্রগুলির হাল ফিরলে ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।