মুম্বইয়ের এক রিক্রুটিং এজেন্সির কথায় ভুলে কাজের সন্ধানে জাসিন্থা পাড়ি জমান বিদেশ। ওই এজেন্সি তাঁকে বলেছিল, কাতারে ভাল মাইনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবাই, সেখান থেকে তাঁর অজ্ঞাতে সৌদি আরবে। ইয়ানবু এলাকায় একটি বাড়িতে কাজ করতে হয় ১৪ মাস, দাস হিসেবে।
আহত, অসুস্থ জাসিন্থা এখন উড়ুপির একটি হাসপাতালে ভর্তি। তিনি জানিয়েছেন, মালিকের মা, ৩ বৌ আর ছেলেমেয়ে- তাদের তিনটি প্রাসাদে গোটা দিন রাত খাটতে হত তাঁকে। জন্তুর মত অত্যাচার করা হত। ছেলেমেয়েরা তাঁকে ডাকত গাড্ডামা নামে, যার অর্থ দাস।
সর্বক্ষণ বাড়িতে আটকে রাখা হত, বাইরে বার হতে দেওয়া হত না। গত বছর নভেম্বরে একবার তিনি পালাতে চেষ্টা করেন কিন্তু পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে আবার মালিকের কাছেই পাঠিয়ে দেয়। তখন থেকে আরও বেড়ে যায় নির্যাতন। প্রচণ্ড মারা হয়, মাথা ঠুকে দেওয়া হয় দেওয়ালে। বারবার চাইলেও জলও দেওয়া হয়নি।
শেষমেষ উড়ুপির একটি মানবাধিকার সংস্থা সৌদি আরবের অনাবাসী ভারতীয় সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে আনে জাসিন্থাকে। ২২ তারিখ উড়ুপির মুন্দ্রানগাডিতে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁর। জাসিন্থা চান, যে এজেন্সি তাঁকে ঠকিয়ে এত বড় বিপদে ফেলেছিল, পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।