নয়াদিল্লি: জিএসটি চালু করার পর এবার কর ফাঁকি রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইন ইন্ডিয়ার (আইসিএআই) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশকে পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতিকেও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নিয়েছে। যারা দেশকে লুটেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। যারা কালো টাকা লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘এক লক্ষেরও বেশি সংস্থার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দিয়েছে সরকার। ৩৭ হাজারেরও বেশি ভুয়ো সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মক্কেলদের কর ফাঁকি দিতে সাহায্য না করে তাঁদের করের আওতায় আনার চেষ্টা করা উচিত সিএ-দের। আপনাদের সই প্রধানমন্ত্রীর সইয়ের চেয়েও শক্তিশালী। সরকারও আপনাদের সই করা অ্যাকাউন্ট ঠিক বলে বিশ্বাস করে। ১,৪০০-রও বেশি অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও, কেন মাত্র ২৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সিএ-রা যদি কারও কাছে কালো টাকা থাকার খবর পান, তাহলে সেই ব্যক্তিদের সতর্ক করে বলা উচিত, তাঁরা রেহাই পাবেন না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নোট বাতিলের পর সরকারি তথ্য অনুযায়ী, তিন লক্ষেরও বেশি নথিভূক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। সুইস ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে কম হয়ে গিয়েছে। ২০১৩ সালের শুরুতে এই অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছিল। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কালো টাকার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান সফল। এটা তিক্ত সত্য যে, কোটি কোটি ভারতীয় উচ্চ আয় করলেও, মাত্র ৩২ লক্ষ নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁদের আয় বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি। সুইৎজারল্যান্ড দু বছরের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয় তথ্য লেনদেন ব্যবস্থা চালু করবে। ফলে কালো টাকা লুকিয়ে রাখা আরও কঠিন হয়ে যাবে।