নয়াদিল্লি: ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে রাজধানীতে যে তাণ্ডব হয়, তার অপরাধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দিল্লি পুলিশ। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেদিনের হিংসায় যারা যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে। যে সব কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে শিগগিরই লুকআউট নোটিস জারি করবে দিল্লি পুলিশ। এরপর তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের গরিমা ম্লান করে দেওয়া ২৬ তারিখের হিংসায় দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে দায়ী করে এফআইআর দায়ের করেছে। ২০-র বেশি কৃষক নেতাকে শো কজ নোটিস পাঠিয়েছে তারা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন যোগেন্দ্র যাদব, বলদেব সিংহ সিরসা ও বলবীর সিংহ রাজেওয়ালের মত ক্ষমতাশালীরা। অভিযোগ, এঁরাই প্রশাসনের সঙ্গে ট্র্যাক্টর মিছিল সংক্রান্ত চুক্তির নিয়ম ভেঙেছিলেন তাই ৩ দিনের মধ্যে এঁদের কাছ থেকে জবাব তলব করা হয়েছে। নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, এত কিছুর পর কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব দাবি করেছেন, কৃষক নেতারা ২৬ তারিখ প্রশাসনের কাছে দেওয়া কথার খেলাপ না করলে হিংসা ছড়াত না। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা, ডাকাতি, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও দাঙ্গা করানোর মত গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লির গাজিপুর থানায় কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাণহানির ষড়যন্ত্রের ৩০৭ ধারাও দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সিঙ্ঘু আর টিকরি সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ আজ ৬৪ দিনে পড়েছে। দুই সীমানাতেই মোতায়েন রয়েছে বিরাট নিরাপত্তা বাহিনী। টিকরি সীমানায় আজ প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছিল, তার মধ্যে জনাকয়েক কৃষক জামাকাপড় খুলে ফেলে বিক্ষোভ দেখান। এদিকে লাল কেল্লায় কৃষক তাণ্ডবের পর সেখানেও বিরাট সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।