নয়াদিল্লি:  ওলা, ফ্লিপকার্ট, পেটিএম, সুইগি, ওয়ো, জোমাটো, পলিসি বাজারের মতো যে সব সংস্থায় বিপুল পরিমাণ চিনা লগ্নি রয়েছে, তাদের আসল উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে গোপন কোনও চক্রান্ত আছে কীনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের আবেদন জানাল ব্যবসায়ী সংগঠন সিএআইটি (দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স)। এই মর্মে তারা চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, টেলিকম ও
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পিযূষ গয়ালকে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে সরকার নিষিদ্ধ করার পর পরই ব্যবসায়ী সংগঠনের এই আবেদন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সিএআইটি-র তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আলিবাবা, টেনসেন্ট এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি চিনা সংস্থা ভারতে বিপুল অর্থ লগ্নি করেছে। এই লগ্নিকরণের মধ্যে অন্য কোনও খেলা আছে কীনা সেটা অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা দরকার।‘
প্রসঙ্গত ভারতে চিনা সংস্থাগুলির লগ্নির পরিমাণ বিপুল। ব্যবসায়ী সংগঠনটি সংস্থাগুলির নাম করে করে মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওলা, ফ্লিপকার্ট, পেটিএম মল, পেটিএম ডট কম, সুইগি, হাইক, ওয়ো, জোমাটো, পলিসিবাজার, বিগবাস্কেট, ডেলিভারি, মেক মাই ট্রিপ,ড্রিম ১১, স্ন্যাপডিল, উডান, লেন্সকার্ট ডট কম, বাইজাস ক্লাসেস, সিরটাস টেক ইত্যাদি।ব্যবসায়ীরা এদের ব্যাপারে বিশদ তদন্ত করার পক্ষপাতী।
সিএআইটি-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেন, যে সব চিনা সংস্থা ভারতে তাদের কারখানা তৈরি করেছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা জরুরি বলে আমরা মনে করছি।তারা এ দেশ থেকে কোনও তথ্য নিয়ে চিনে পাচার করছে কীনা সেটা দেশের নিরাপত্তার খাতিরেই দেখা জরুরি।উল্লেখ্য, সিএআইটি সংগঠনটির সঙ্গে দেশের সাত কোটি ব্যবসায়ী তথা ৪০হাজার ব্যবসায়ী সংগঠন যুক্ত রয়েছে। দেশের
নিরাপত্তার স্বার্থে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে সরকার নিষিদ্ধ করার পর পরই ব্যবসায়ী সংগঠনটি এই আবেদন রেখেছে। এটি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।পেটিএমের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা ব্যবসায়ী সংগঠনের আবেদনের প্রশংসা করে ট্যুইট করেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।ভারতকে মজবুত করে গড়ে তুলতে ভারতীয়দেরই উদ্যোগী হতে হবে। দেশের নিরাপত্তার চেয়ে বড় আর কিছুই নয়।
সম্প্রতি চিনা স্মার্টফোন সংস্থা জিওয়ামি-র ভারতীয় শাখার প্রধান মনু কুমার জৈন বলার চেষ্টা করেছিলেন যে ভারতের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে চিনা পণ্যের সমালোচনা বা বর্জন করাটা ঠিক নয়। সে সময়ে খান্ডেলওয়াল বলেছিলেন, উনি আসলে ওঁর চিনা প্রভুদের খুশি করতে চাইছেন।