নয়াদিল্লি: রাষ্র্‘পুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদ আজহারকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার প্রস্তাবে এই নিয়ে চিনের চতুর্থবার ভেটো দেওয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী চিনা সামগ্রী পোড়ালেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে টেকনিক্যাল হোল্ড বা কারণ দেখিয়ে চিনের পুলওয়ামা সন্ত্রাসের দায় নেওয়া জইশ-ই-মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতাকে কালো তালিকায় ফেলার প্রস্তাবে বাগড়া দেওয়াকে ‘হতাশাজনক’ বলেছে ভারত। ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সেইট)- এর সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, যে দেশই ভারতের স্বার্থবিরোধী কিছু করবে, সেই দেশের পণ্য বয়কট করবেন ব্যবসায়ীরা। তাঁর দাবি, ব্যবসায়ীরা ভারতীয় অর্থনীতির চৌকিদার, সুতরাং এখানে চিনের ব্যবসার আর বাড়বাড়ন্ত হবে না। জামশেদপুরে চিনা খেলনা, মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, চপ্পল, জামাকাপড় পোড়ানো হয় বিষ্টুপুর বাজারে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের ডাকে হোলির প্রাক্কালে চিনা সামগ্রী জ্বালিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দিল্লিতে চিনে তৈরি মালপত্রের বড় বাজার সদর বাজারে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী, দোকানদার জমায়েত হয়ে প্রতিবেশী দেশের পণ্যসামগ্রী জড়ো করে আগুন লাগিয়ে দেন। চিন-বিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা ক্রেতাদেরও চিনা পণ্য বয়কটের আবেদন করেন। স্লোগানে চিনকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে সহায়তা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। আরও বলেন, চিন নিজেকে শুধরে না নিলে যে ভারত সবচেয়ে বড় বাজার, সেখান থেকে তাদের হটিয়ে দেবেন তাঁরা। সেইট-এর শীর্ষ পদাধিকারীরা বলেছেন, পাকিস্তানকে মদত দিয়ে ভারতের স্বার্থের ক্ষতি করে পিছনের দরজা দিয়ে যুদ্ধ চালানোয় চিনের ওপর ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করতেও ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
সেইট বলেছে, চিনা মালপত্র দামে সস্তা বলে সেগুলির গুণমানের কথা না ভেবেই কিনছেন এদেশের মানুষ। আমাদের নিজেদের ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমার মধ্যে উন্নত মানের পণ্য উত্পাদনে সক্ষম। সরকার তাই দেশীয় শিল্প সংস্থাগুলিকে নানা সুবিধা, ভর্তুকি দিয়ে সাহায্য করুক যাতে তারা চিনের সঙ্গে ব্যবসায় পাল্লা দিতে পারে।