নয়াদিল্লি: ঠিক সময়ে ট্রেন চালান, নইলে আটকে যাবে প্রমোশন! রেলের সব জোনাল অফিসের মাথাদের সাবধান করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
রেলমন্ত্রকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এক ঘরোয়া বৈঠকে জোনালের জেনারেল ম্যানেজারদের কার্যত তিরস্কার করে গয়াল বলেন, ট্রেন চলাচলে বিলম্বের কারণ হিসাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার অজুহাত দেখিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ২০১৭-১৮ বছরে রেল নেটওয়ার্কে ৩০ শতাংশ ট্রেন দেরিতে চলেছে। চলতি গ্রীষ্মের ছুটির মরসুমেও ছবিটা বদলায়নি।

বৈঠকে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন উত্তর রেলের জিএম। গত ২৯ মে পর্যন্ত নর্দার্ন রেলে সময় মেনে ট্রেন চলার হার ৪৯.৫৯ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩২.৭৪ শতাংশ কম। সব জোনের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ। তাদের পরই রয়েছে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে ও ইস্টার্ন রেলওয়ে। তাদের পারফরম্যান্সের অবনতি হয়েছে যথাক্রমে ২৭ ও ২৬ শতাংশ। বৈঠকে রেলমন্ত্রী সব জোনের প্রধানদের ডেকে আলাদা করে কথা বলে দেরিতে ট্রেন চলার কারণ জানতে চান।
গত মাসে প্রগতি বৈঠকে দেরিতে ট্রেন চলার ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
সূত্রের খবর, কীভাবে সম্পদের অপচয়ের ফলে ট্রেন চলায় দেরি হচ্ছে, তা দেখাতে গিয়ে তিনি সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উল্লেখ করেন যেখানে নয়াদিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশনে একটা গার্ডার বদল করতে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন, কিন্তু কাজটা সফল হয়নি। মন্ত্রী জিএমদের দায় নিতে বলে জানিয়ে দেন, এভাবে সম্পদের অপব্যয় ঠিক নয়। ছুটির মরসুমে যখন ট্রেনের চাহিদা বেশি থাকে, সে সময় অহেতুক বিলম্ব মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলে দিয়েছেন, ৩০ জুনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না দেখলে সংশ্লিষ্ট জিএমদের প্রমোশন বিবেচনা করা হবে না। তাঁদের পারফরম্যান্সের রেটিং নির্ভর করবে দেরির লিস্টে কোথায় রয়েছেন, তার ওপর। সেখানে যত পিছিয়ে থাকবেন, রেটিং হবে তত খারাপ।