নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে শেষ হলেই কি ফের চালু হবে রেল, বিমান চলাচল? গণপরিবহণ আবার সচল হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ওইদিনের পরই রেল, বিমান যোগাযোগ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানাল। সূত্রের  খবর, ৩মে-র পর ফের বুকিং নিতে বারণ করা হয়েছে বিমান সংস্থাগুলিকে।


নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ২৫ মার্চ শুরু হওয়া প্রথম পর্বের লকডাউনের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল শেষ হতেই তার মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৫ মার্চের আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে রেল, বিমান পরিবহণ।


সূত্রের খবর, শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বাসভবনে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে কোভিড-১৯ সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে ৩ মে-র পরপরই ট্রেন, বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করা নিয়ে  উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ঠিক হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাদের তথ্য পরিসংখ্যান নিয়ে রিপোর্ট দেবে, সেটা পর্যালোচনা করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


এয়ার ইন্ডিয়া তাদের ওয়েবসাইটে ঘরোয়া কিছু রুটে ও ১ জুন থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান যাত্রার জন্য ব্যাপারে ৪ মে থেকে বুকিং নেওয়া শুরু করবে বলে জানায়।  কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই শনিবার সরকার জানিয়ে দেয়, দেশের ভিতরে বা বাইরে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি।


কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি ট্যুইট করেন, অসামরিক বিমানমন্ত্রক পরিষ্কার জানাচ্ছে, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক বিমান অপারেশন চালুর কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। বিমান সংস্থাগুলিকে সরকার এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বুকিং চালুর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার দুদিন বাদে, গত বৃহস্পতিবারই ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন কোভিড-১৯ এর জেরে লকডাউনের (২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল)মধ্যে বুক করা সব ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সফরের টিকিটের টাকা তিন সপ্তাহের মধ্যে বাতিলের ফি বাদে ফেরত দিতে বলে বিমান কোম্পানিগুলিকে।


করোনাভাইরাসের দাপটে আর্থিক বিপর্যয়ের ছাপ পড়েছে বিমান ব্যবসায়ও। একাধিক বিমান কোম্পানি কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করেছে বা বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বলেছে।