নয়াদিল্লি: পুত্রবধূকে বাড়ির সদস্য হিসেবে দেখুন, তিনি আপনাদের বিনা পয়সার ঝি নন। যখন তখন তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া যাবে না। ছেলের বউয়ের প্রতি বেশিরভাগ পরিবারের গূঢ় অনীহাকে কটাক্ষ করে এ কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কে এস রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, কোনও সভ্য সমাজ কতটা সংবেদনশীল তা বলে দেয় পুত্রবধূর প্রতি ব্যবহার। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি আসা বধূটির শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে ততটাই সম্মান পাওয়া উচিত, যা বাড়ির সদস্যরা পেয়ে থাকেন। তাঁকে উষ্ণতা ও ভালবাসার সঙ্গে স্বাগত জানানো উচিত। অচেনা কারও সঙ্গে ব্যবহারের মত তাঁর সঙ্গে দূরত্ব রাখা ঠিক নয়, যেমন ঠিক নয় তাঁকে গুরুত্ব না দেওয়া। কখনও ভাবা উচিত নয় যে তাঁকে বিনা পয়সার কাজের লোক হিসেবে পাওয়া হয়েছে, ইচ্ছে করলেই বাড়ি থেকে দূর করে দেওয়া যাবে।

স্ত্রীকে নির্যাতন করে আত্মহত্যায় বাধ্য করার অপরাধে ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় এক ব্যক্তি। সেই শাস্তি কমানোর আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সে। আদালত শাস্তি তো কমায়ইনি, বরং বলেছে, কোনও নববিবাহিতা শ্বশুরবাড়িতে সম্মান পেলে তা বিবাহের পবিত্রতাকেই তুলে ধরে, যে স্বপ্ন দেখে একটি মেয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তা পরিপূর্ণ হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে যেভাবে বধূটির সঙ্গে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ব্যবহার করেন, তাতে বোঝা যায় সমাজ কতটা অসংবেদনশীল, কতটা অসাড় হয়ে পড়েছে। যেভাবে বেশ কিছু ঘটনায় পণের দাবি ও অন্যান্য নানা কারণে বধূর বাঁচার ইচ্ছে ধ্বংস করে তাঁকে আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, তা সামাজিক নির্মমতা ছাড়া কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত।